ইউ এন লাইভ নিউজ: কর্ণাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শতরান করেন বাংলা অধিনায়ক অণুস্তূপ মজুমদার। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি সুদীপ ঘরামির। চলতি রঞ্জি ট্রফির চার ম্যাচে এখনও জয় অধরা বাংলার। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে অভিযান শুরু করে বাংলা। বিহারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাকে। কেরলের বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট আসে অণুস্তূপদের। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ ড্র করে বাংলা। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন অণুস্তূপরা। ফলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানেই থেকে যেতে হয় বাংলাকে।
কর্ণাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩০১ রান তোলে বাংলা। দুর্দান্ত শতরান করেন ক্যাপ্টেন অণুস্তূপ মজুমদার। তিনি ১০১ রান করে আউট হন। ১৬৪ বলের ইনিংসে তিনি ১৬টি চার মারেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। প্রথম ইনিংসে শাহবাজ আহমেদ করেন ৫৯ রান। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় প্রথম ইনিংসে ৫৫ রান করেন। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪৮ রান। পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক প্রথম ইনিংসে তোলে ২২১ রান। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৮০ রানের লিড পেয়ে যায় বাংলা। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৭, অভিনব মনোহর ৫৫ ও শ্রেয়স গোপাল ২৮ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি মণীশ পান্ডে। ইশান পোড়েল বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নেন সুরজ জসওয়াল।
বাংলা ৫ উইকেটে ২৮৩ রান তুলে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। অনবদ্য শতরান করেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯৩ বলের ইনিংসে সুদীপ ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ বলে ৬৩ রান করে নট-আউট থাকেন। জয়ের জন্য ৩৬৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা ৩ উইকেটে ১১০ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। মণীশ পান্ডে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ রান করে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার সুরজ জসওয়াল ৩টি উইকেট দখল করেন। অনুষ্টুপ ম্যাচের সেরা। এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের সুবাদে বাংলার মোট পয়েন্ট দাঁড়াল ৮। এলিট সি-র টেবিলে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ফলে জয়ের জন্য পুরোপুরি না ঝাঁপানোর খেসারত দিতে হল বাংলাকে। রনজিতে চাপও বাড়ছে ক্রমশ।
Leave a Reply