রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ধাঁচে রাজ্যে শুরু ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’

নিউজ ডেস্ক : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মানচিত্রে নেই পশ্চিমবঙ্গ। আর তাতেই হতাশ রাজ্যের কংগ্রেস নেতা-নেত্রী থেকে দলের সাধারণ সমর্থকরা। এরই মধ্যে এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ধাঁচে রাজ্যে শুরু হল ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’। ফলে বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কি তবে এরাজ্যের তেমন কদর নেই? ঠিক কি কারণে এই পৃথক যাত্রার আয়োজন বঙ্গে? তবে কি শুধুই দলের মুখরক্ষার খাতিরেই এই যাত্রা?

প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে বুধবার গঙ্গাসাগর থেকে জল সংগ্রহ করে, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’ পাহাড়ের কার্শিয়াংয়ে এই যাত্রা শেষ হবে ২৩ জানুয়ারি। এই যাত্রার মাধ্যমে ১০ জেলার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন বহরমপুরের সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন জয়রাম রমেশ, তামিলনাড়ু লোকসভার সাংসদ চেকলাকমা, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি আব্দুল মান্নান, রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ৷

যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজনৈতিক ‘সংকীর্ণতা’কে দূরে সরিয়ে রেখে স্বৈরতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সমস্ত দলকে একত্রিত হয়ে এই যাত্রায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, আজ কংগ্রেসের ১৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দেশ জুড়ে কংগ্রেসের আবেগ, কৃষ্টি ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। আমরা বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে শুরু করলাম ‘সাগর থেকে পাহাড়’। মানষের উৎসাহ বলে দিচ্ছে কংগ্রেস এখনও পিছিয়ে পড়েনি।

আরও পড়ুন : পাহাড়ের রাজনীতির নতুন সমীকরণ, দল ছাড়লেন বিনয়