ইউ এন লাইভ নিউজ: ১ জুলাই থেকে আইন বদলের কথায় ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। ব্রিটিশ সরকারের তৈরি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসির বদলে আগামী ১ জুলাই থেকে বদলে যাবে দেশের অপরাধ সংক্রান্ত আইন। ১ জুলাই থেকেই লাগু হবে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা বা বিএনএস। একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধি বা সিআরপিসি বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু হবে গোটা দেশে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিকার ২০২৩ যথাক্রমে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধির কোড এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করবে। এই তিনটি ফৌজদারি আইন কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে ১ জুলাই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ দ্বারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানগুলির লক্ষ্য নতুন আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলিকে তুলে ধরা।
নতুন ফৌজদারি আইন:
নতুন আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়েসের কম মহিলাদের ধর্ষণের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। অন্যদিকে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর থেকে আজীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে।
এমনকি মহিলাদের হার ছিনতাই বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্যও রয়েছে নতুন আইন। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ান তাঁরই বাড়িতে এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার কথাও বলা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়।
বিয়ে বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের জন্য ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও আরও কঠোর সাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে নতুন আইনে।
নতুন ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ভুক্তভোগীরা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এফআইআরের একটি কপি বিনামূল্যে পাবেন। এছাড়া এই আইনে আরও সংযোজন হয়েছে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি তার পছন্দ করা যে কোনো এক ব্যক্তিকে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে পারবেন।
নতুন আইনের অধীনে ভুক্তভোগীরা ৯০ দিনের মধ্যে তাদের মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাবেন।
ইলেকট্রনিকভাবে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া ভিকটিম, সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের সুবিধা দেবে এবং সমগ্র আইনি প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করবে এই নতুন সংযোজন।
Leave a Reply