স্পোর্টস ডেস্ক: রোহিত – বিরাটরা যখন দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হারছেন, তখন কাউর – মানধানা – গোস্বামীরা ২৩ বছর পর বিদেশের মাটিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল। এই সিরিজের পর, প্রমীলা ক্রিকেট দলের তারকা পেসার ঝুলন গোস্বামী অবসর নিতে চলেছেন। এই দলের সকলে, ঝুলনের জন্য সিরিজ জয়ের অঙ্গীকার নিয়েছিল – শুরুতেই। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেই কাজ সেরা নিল বুধবার রাতে।
ভারতের মেয়েরা ৮৮ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২-০ ম্যাচে এগিয়ে গিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ পকেটে পুরে নিল। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার দলনেত্রী হরমনপ্রীতের অপরাজিত এক সেঞ্চুরি দলকে তিনশো রানের গন্ডি টপকে যেতে সাহায্য করে। ১১১ বলে কাউর ১৪৩ রানের ইনিংসটি সাজান। তাতেই দল পৌঁছে যায় ৫ উইকেটে ৩৩৩ রানে। জবাবে ২৪৫ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। সিরিজের শেষ ম্যাচ লর্ডসে। বাংলার ঝুলন গোস্বামী দেশের হয়ে শনিবার শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবেন।
এই ম্যাচটি ছিল টিম ইন্ডিয়ার নেত্রী হরমনপ্রীত কাউরের ম্যাচ। ব্যাটার হরমনের ওয়ান ডে ম্যাচে সেরা ইনিংটি খেলেছিলেন ২০১৩ সালে এই ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে। করেছিলেন ১০৭ বলে ১০৯ রান। সেই সেরা সংগ্রহ এই ম্যাচে পিছনে চলে গেল। এবার করে রাখলেন ১১১ বলে অপরাজিত ১৪৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনও প্রমীলা ভারতীয়র এটাই সেরা সংগ্রহ হয়ে গেল।
দলের রান একাই টেনে নিয়ে গেলেন। উল্টোদিক থেকে সাহায্য করে গেলেন : হারলিন দেওল ( ৭২ বলে ৫৮ রান) , স্মৃতি মানধানা ( ৫১ বলে ৪০ রান)। কাউর ১০০ বল খেলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান। আর সেঞ্চুরি পেতেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। ২ টি ওভার বাউন্ডারি আর ৪ টি বাউন্ডারি এসেছিল। সব মিলিয়ে তাঁর ইনিংসে ছিল: ৪টি ওভার বাউন্ডারি আর ১৮টি বাউন্ডারিতে। তিনি আর স্মৃতি ( দলের সহ অধিনায়িকা) ৫ টি করে ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করে রাখলেন। এই দলের দীপ্তি শর্মা কোনও ভারতীয় হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের সেঞ্চুরি (১৮৮ রান) সংগ্রাহক হয়েও, এই ম্যাচে কাউরের কাছে ছিলেন ম্রিয়মাণ। ভারতীয় দলের হয়ে শেষ তিন ওভারে ৬২ রান তুলে নেন হরমনরা।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রেনুকা ঠাকুর ( ৪/৫৭) আর দয়ালান হেমালাথা (২/৬) সফল হয়েছেন এই ম্যাচে।
ম্যাচের শেষে ম্যাচের সেরা হয়ে সিরিজ জেতা নেত্রী হরমন বলেছেন : ” এই ম্যাচটি আমাদের জন্য দারুন গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলে যারাই সুযোগ পেয়েছিল, সকলে নিজেদের উজাড় করে খেলেছে। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা আমি সবসময় উপভোগ করি। সারাক্ষণ খেলায় ডুবে থাকি। ক্রিকেটার – সাপোর্ট স্টাফ, সকলের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে চলি।” আর এই ইনিংস গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন কিভাবে? ক্যাপ্টেন বলেছেন,” সময় নিয়ে উইকেটে থিতু হয়েছি। যখন বুঝেছিলাম, সব ঠিকঠাক চলছে – তখন নিজের ছন্দে খেলতে শুরু করেছিলাম।
স্বাভাবিকভাবেই এসেছিল, ঝুলন গোস্বামীর শেষ ম্যাচ খেলার প্রসঙ্গ। হরমন বলেন, ” পরের ম্যাচ লর্ডসে। এই ম্যাচ, আমাদের কাছে এক বিশেষ ম্যাচ। ঝুলন অবসর নিয়ে চলেছে। এটা ওর শেষ ম্যাচ।
Leave a Reply