ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ লোকসভা! চব্বিশে লোকসভার আগে এবার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অভিনব প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছে বঙ্গ-বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে জুন মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে এই প্রচার অভিযান, এমনটাই বিজেপি সূত্রের খবর।
মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্রের সাফল্য প্রচারের জন্য দেশ জুড়ে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি সরকার। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে মহা জন সম্পর্ক অভিযান নামে ওই প্রচার কর্মসূচি। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনেই প্রচারে নামার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।
‘মহা জন সম্পর্ক অভিযান’ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কী কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির? এই বিষয়ে ইউনিভার্সাল নিউজকে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিজেপি স্পোকসপার্সন এবং আইটি সেল হেড জয় মল্লিক।
জয় মল্লিক জানান, বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যেই ভাবে রিল এবং শর্টসের জনপ্রিয়তা যেভাবে বেড়েছে তাতে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়েই প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি। ঠিক কেমন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে প্রচার করবে বিজেপি? প্রশ্নের উত্তরে জয় মল্লিক জানান,’সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের ফলোয়ার্সদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ বছররের যাত্রায় যাবতীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সম্মন্ধে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে।’ এর ফলে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মানুষ, বিজেপির উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলির বিষয়ে আরও অবগত হবে, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা।
৩০মে থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় স্তরের প্রচার, চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। লোকসভা এবং বিধানসভা স্তরে চালানো হবে এই প্রচার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী আর উপমুখ্যমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। আর অবিজেপি শাসিত মূলত সে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা এবং বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতিরা থাকবেন। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে জুড়ে প্রায় ১০০০টি জনসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনাও করেছে বিজেপি সরকার।
প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক বা শীর্ষস্থানীয় কেউ আর সোস্যাল মিডিয়ার নানা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
এই সম্পূর্ণ ‘মহা জন সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য জাতীয় স্তরে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্য স্তরে থাকছে সাত সদস্যের কমিটি। এছাড়াও কর্মসূচি সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কি না তা দেখার জন্যও গঠন করা হবে দুই সদস্যের টিম। ওই টিমে থাকবেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর অপরজন দলের সর্বভারতীয় স্তরের কোনও পদাধিকারী।