নিউজ ডেস্ক : আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। তারপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কি করে হবে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন? বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট যে একেবারেই গড়ের মাঠ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও মিলছে না অনুদান। অর্থ সংকটে জেরবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে এবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।
সম্প্রতি বার্ষিক সমাবর্তন সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। শূণ্য ভাড়ার নিয়ে বার্ষিক সমাবর্তনের আয়োজন করতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার সদস্যরা। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সুরঞ্জন দাস সেই বৈঠকে জানান, এই বিষয়ে শীঘ্রই রাজ্য সরকারকে চিঠি দেবেন তিনি।
বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনুদানের ক্রমাগত হ্রাস, ক্যাম্পাসে আর্থিক সংকট তৈরি করেছে। ফলে একাধিক ক্ষেত্রে ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয়েছে। জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েও, রাষ্ট্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রাজ্য সরকারের উদাসীনতা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে র্যাঙ্কিং এবং অ্যাকাডেমিক মান হারাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: চিরবিদায় ‘জুম’! শেষ হল অনন্তনাগ এনকাউন্টারে আহত জুমের লড়াই
রাজ্যে মেলা-খেলা-সভা-মিছিলে মুক্ত হস্তে দান করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু অনুদান কমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স কমিটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ থেকে শুরু করে বিগত চারটি আর্থিক বছরে, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ এবং মোট ব্যয়ের পার্থক্যের কারণে ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। প্রতি বছর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে চলতি বছরের বাজেটে গত বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ অনুদান কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : সাদা ধোঁয়ায় ঢেকেছে ধাপার আকাশ, চোখ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী