নিউজ ডেস্ক: গেস্ট হাউজ পলিটিক্স এবার ঝাড়খন্ডেও। সরকার বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। বিজেপির হাত থেকে বিধায়কদের বাঁচাতে তিনটি বাতানুকুল বাসে করে শাসক দলের বিধায়কদের খুঁটীর একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হল।
খনি দুর্নীতি মামলায় গভীর সংকটে পড়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যে কোনও মুহূর্তেই হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যপাল রমেশ বেইস। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যাতে হেমন্তের টিমের ওপর থাবা বসাতে না পারে, তাই জোটসঙ্গী বিধায়কদের নিয়ে ঝাড়খন্ড ছাড়লেন টিম হেমন্ত।
হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজকে কেন্দ্র করে প্রতি মুহূর্তে তাৎপর্যপূর্ণ মোড় নিচ্ছে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজ হলে কী পদক্ষেপ নেবে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি, তারই দিশা ঠিক করতে বার বার বৈঠক করছে শাসক দল।
এদিন হেমন্তের বাড়িতেই তৃতীয়বারের জন্য বৈঠকে বসেন বিধায়করা। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই একেবারে আঁটঘাট বেঁধে এসেছিলেন বিধায়করা।
বিধায়ক পদ খারিজের সম্ভাবনার মধ্যেই হেমন্ত সোরেন তাঁর বিধায়কদের এক সূতোয় বেঁধে রাখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বিজেপির হাত থেকে সরিয়ে ‘নিরাপদ জায়গায়’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, হেমন্ত ছাড়াও সেই দলে ৪৩ জন বিধায়ক রয়েছেন।
নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানান, কমিশনের রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে রাজভবনে। এদিকে জেএমএমের অভিযোগ, তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ”বিজেপি ম্যাজিক ফিগার পাবে না। তাই অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করছে । ব্যাকডোর পলিটিক্স করছে বিজেপি।”
Leave a Reply