নিউজ ডেস্ক : অভিশপ্ত মাচ্ছু নদী। ১৯৭৯ সাল। ভয়াল বন্যায় প্রান যায় প্রায় ২০ হাজার মানুষের। ৪৩ বছর পর সেই স্মৃতি উসকে দিয়েছে মাচ্ছু নদীর সেতু বিপর্যয়। প্রায় ৫০০ জন মানুষসহ ভেঙে পড়ে সেতু। তবে এখনও পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দলের উদ্ধারকাজে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু যে সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল সেতু, চারিদিকে শুধু মানুষের আর্তনাদ, বাঁচার চেষ্টা চলছে প্রাণপনে, সেইসময় এক ‘মসিহা’ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচায় প্রায় ৯০ জনকে। চোখের সামনে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে যিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উদ্ধারকাজে, তিনি হলেন জিগনেশ লালজিভাই।
মোরবিতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে জিগনেশ লালজিভাইয়ের। সেনাবাহিনীর কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেন তিনি। ভিড়ে ঠাসা সেতু তাসের ঘরের মতো নদীর উপর ভেঙে পড়তেই তিনি ও তাঁর ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকার্যে।উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই তাঁদের উদ্যোগে বাঁচে অনেক প্রাণ। শুধু তাই নয়, এরপর প্রায় ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় যুবক এবং মৎস্যজীবীরাও এগিয়ে আসেন উদ্ধারকাজে। তাঁদের উদ্যোগেও প্রায় বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু অনেকেই তলিয়ে যায় জলের তলায়। আর তাতেই আক্ষেপ রয়ে গেছে উদ্ধারকারীদের। বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২ দিন। কিন্তু এখনও যেন ঘোর কাটছে না তাঁদের।
আরও পড়ুন : Pune Fire & Delhi Factory Fire: দিল্লি ও পুনের পৃথক অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২
ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর জিগনেশ জানিয়েছেন, ‘ব্রিজ ভেঙে পড়তেই আমার ছাত্রদের বলেছিলাম, সেতুর কাছে যেতে। যারা সাঁতার জানে, তারা জলে নেমে পড়ে, আর যারা জানে না, তারা নদীর ধার থেকে জলে দড়ি ফেলে যাতে সেই দড়ি ধরে কেউ কেউ উঠে আসতে পারেন। আমরা সকলে মিলে অন্তত আশি থেকে নব্বই জনের প্রাণ বাঁচিয়েছি।’ অন্যদিকে উদ্ধার কাজে নামা স্থানীয় যুবকরা জানিয়েছেন, ব্রিজে অতিরিক্ত ভিড় দেখেই বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই ঘটে বিপর্যয়। সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রায় ৩০ জনের প্রাণ বাঁচান। কিন্তু অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বাচ্চাদের বাঁচানো যায়নি। পুলিশ আসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর।
আরও পড়ুন : ভোট প্রচার শিকেয়, ড্যামেজ কন্ট্রোলে মোরবি সফর মোদির
Leave a Reply