ইউ এন লাইভ নিউজ: মঙ্গলে জোড়া কার্নিভাল কর্মসূচি কলকাতায়। পুজোর কার্নিভালের দিনই দ্রোহ কার্নিভালের ডাক চিকিৎসকদের। রানি রাসমণি রোডে বিকাল সাড়ে চারটে থেকে এই দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। যদিও প্রথমের দিকে দ্রোহ কার্নিভালের জন্য কার্যত বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। এমনকি মিছিল রুখতে ধর্মতলার আশেপাশের ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা করেছিল পুলিশ। রানি রাসমণি রোড এবং সংলগ্ন কিছু জায়গায় জারি করা হয়েছিল ১৬৩ ধারা। তার বিরোধিতায় চিকিৎসকদের সংগঠন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতেই মিলল সমাধান। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আর্জি মঞ্জুর করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর পর মঙ্গলবার হাই কোর্টে বিচারপতি রবিকিশন কপূরের বেঞ্চে দুপুর ২টো নাগাদ মামলাটির শুনানি শুরু হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর সাফ জানিয়ে দিল, কলকাতা পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তি ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’। রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে দ্রোহ কার্নিভাল হতে কোনও বাধা নেই। যাঁরা যোগ দিতে চাইবেন, তাঁদেরকে কোনোভাবেই আটকাতে পারবে না পুলিশ। দ্রোহ কার্নিভালের মিছিল যাতে এগোতে না পারে তার জন্য রানি রাসমণি রোড ধরে ধর্মতলা থেকে নেতাজি মূর্তির দিকে ডান পাশের লেনে দাঁড় করানো হয়েছিল সারি সারি বাস। বাসচালকদের দাবি, পুলিশ বাসগুলি এগোতে দিচ্ছে না। নেতাজি মূর্তির ঠিক সামনেই বসানো হয়েছিল প্রায় ৯ ফুটের ব্যারিকেড। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পরই এলাকা থেকে পুলিশের ব্যারিকেড সরানো শুরু হয়েছে। বিচারপতি কাপুরের আরও নির্দেশ, একই জায়গায় দুই কার্নিভাল যদি সমস্যাজনক মনে হয়, তাহলে রেড রোড এবং রানি রাসমনি রোডকে ব্যারিকেড দিয়ে পৃথক করা হোক। এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের সময়েও এই ধরনের ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ যোগ দিতে মহিষবাথান থেকে এসেছেন ঢাকিরা। সামনে ব্যানারে লেখা স্লোগান, ‘বিচার যখন প্রহসন, লড়াই তখন আমরণ’। মোট ২১ জন ঢাকি এসেছেন। ঢাকের আওয়াজে, গানে, স্লোগানে মেতে উঠেছে দ্রোহ কার্নিভাল। সময়ের আগেই শুরু হয়ে গেল ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। লৌহকপাট সরতেই উচ্ছ্বাস শুরু রানি রাসমণি রোডে। হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে জনস্রোত। ঢাক বাজছে। সেই ঢাকের তালে তালে আনন্দে নাচছে জনতা।
Leave a Reply