ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান করে পদত্যাগ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ জিপিও থেকে চিঠি পাঠিয়ে ইস্তফার দেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখাও করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কাজ করতে চান। তাই সরাসরি রাজনীতিতে আসতে চলেছেন তিনি। এই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূল সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য ছিল, তারাই তাঁকে রাজনীতিতে আসার চ্যালেঞ্জ করে এই সুযোগ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা ছিল, তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। তাহলে কোন দলে যাবেন তিনি, তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যদিও ইঙ্গিত মিলিছে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে প্রার্থীও হতে চলেছেন আসন্ন নির্বাচনে।
২০২০ সাল থেকে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিচার, পর্যবেক্ষণ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। বিশেষত শিক্ষা দুর্নীতিতে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দপ্তরের একাধিক শীর্ষ কর্তাব্যক্তি পুলিশের জালে এসেছেন। তার পর থেকেই বিচারপতি হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মনে বিশ্বাস জন্মায় যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই তাঁদের সুবিচার পাইয়ে দিতে পারেন। সেই বিশ্বাস আরও বাড়ে, যখন স্রেফ মন্ত্রীর মেয়ে হয়েই চাকরি পেয়ে যাওয়া শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে সেই পদে যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। এমনই তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিচারের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর আস্থা বাড়ে।
Leave a Reply