নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে মামলা চললেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না কোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ কথা বলেছেন।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করেছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। তবে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই প্রাথমিকের এক মামলা চলার সময় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাকরি প্রার্থীদের স্বার্থের কথা ভেবে নিয়োগ প্রক্রিয়া, বাধা হয়ে দাঁড়াব না।
সম্প্রতি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের টেটে বসা এক লক্ষেরও বেশি ছেলে-মেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে সংরক্ষিত বিভাগে যাঁরা ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেয়েছিলেন টেটের নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা পাশ করতে পারেননি।
এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সেই অনুযায়ী ১৫০-এর মধ্যে যাঁরা ৮২ পেয়েছে শতাংশের বিচারে তাঁদের দাঁড়িয়েছে ৫৪.৬৭। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ হচ্ছে না। চাকরিপ্রার্থীরা যদি ১ নম্বর বেশি পেতেন তবে শতাংশের বিচারে তা হত ৫৫.৩৪। অতএব, এ ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়ম প্রযোজ্য হত। তাই পর্ষদ সংরক্ষিতদের জন্য ৮২-র পরিবর্তে ৮৩ নম্বর ধার্য করে।
মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, বিষয়টি নিয়ে জটিলতার কারণে এনসিটিই শতাংশের পাশাপাশি নম্বরও নির্দিষ্ট করে দেয়। এনসিটিই জানায়, ৮২ নম্বর হলেই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। সেই মোতাবেক ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ শতাংশ হিসাবেই গণ্য করা উচিত। তা ছাড়া দুটি টেটেই কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল। তা নিয়ে মামলাও হয়েছে।
আরও পড়ুন: পারদ নামল এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি,অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ কী জানাচ্ছে আবহাওয়াবিদরা
শুক্রবার এক মামলা চলাকালীন বিচারপতি বলেন, ‘‘আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াব না। হস্তক্ষেপও করব না। যদি কোনও অভিযোগ বা মামলা হয়, তার বিচার চলতে পারে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে আমি নই। যদি না এমন কোনও খুব গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে, যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’’
Leave a Reply