Kaustav Bagchi and Mamata Banarje

Kaustav Bagchi: ইমেইল মারফত মমতার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি কৌস্তভের

ইউ এন লাইভ নিউজ: বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে এসএসসির রায় নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। কৌস্তভের অভিযোগ রাজনৈতিক সভা থেকে দেশের বিচার বিভাগের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ করেছেন মুখমন্ত্রী। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি রায়ের পরে রায়গঞ্জে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী নির্বিচারে বিচার বিভাগকে আক্রমণ করেছিলেন এবং ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ররাজনৈতিক যোগের অভিযোগ তুলে বলেছিলেন “এটা ওই বিজেপির চিহ্নে দাঁড়ানো জজের কীর্তি।”

মমতার এই মন্তব্যে, বাগচি অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী আদালতের সিদ্ধান্তকে বেআইনি এবং বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি প্রধান বিচারপতিকে তার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি লেখেন “রায়গঞ্জের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিচার বিভাগের উপর যে ভাষায় নির্লজ্জ আক্রমণ করেছেন তাতে তাঁর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি আপনার কাছে। উনি বলেছেন, আদালতের রায় বেআইনি। বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে।” চিঠিতে কৌস্তভ আরও লিখেছেন, “আদালতের রায় নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা মিথ্যা ও সত্যের বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতের প্রতি বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক উদ্দেশে এই মন্তব্য করা হয়েছে।”

আদালতের নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন যে “একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল তাঁর অর্ডার ছিল এটা। শীর্ষ আদালত এটাকে একদম সেট এসাইড করে দিয়েছিল, বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করতে। আরে কাকে নিয়ে করবেন ডিভিশন বেঞ্চ?” তার সাথেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বিচারক নিয়ে বলছি না। আমি রায় নিয়ে বলছি। এই অর্ডার বেআইনি অর্ডার। চিন্তা করবেন না আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। যখন বিপদে পড়বেন, তখন আর কেউ না থাকলেও আমি থাকবো। আমি কারোর পাশ থেকে সরে দাঁড়াবো না।”
তাছাড়াও রায়গঞ্জের ওই সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন “বিজেপির বিচারালয় হয়ে গেছে। বিচারপতিদের দোষ নয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ। এমন বিচারপতিদের এনে বসাচ্ছে যারা বিজেপির পার্টি অফিসের হুকুম মেনে চলে।” একইসঙ্গে বলেন, “কী করবে আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনবে ? কী করবে আমাকে জেলে পাঠাবে, আমি প্রস্তুত আছি। যতদূর লড়াই করার করব।”