নিউজ ডেস্ক: ২৩ মাসের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান। হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের খবর করতে যাওয়ার পথেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। তারপর থেকেই শুরু হয় কাপ্পানের আইনি লড়াই।
হাথরাস, নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় ২০২০ সালের অক্টোবরের ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনা। তবে এখানেই থেমে থাকেনি নৃশংসতা। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে ইউপি পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশসহ গোটা দেশের রাজনীতি। পরিস্থিতির অবনতির নেপথ্যে কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে ইউপি সরকার।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে তৃণমূলের ১৯ নেতা
২০২০ সালে সিদ্দিকী কাপ্পানের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে করা হয় মামলা। এই মামলায় জামিনের আবেদন করেন কাপ্পান। প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, কাপ্পান সিদ্দিকীর জামিনের নির্দেশ মঞ্জুর করা হবে শর্তসাপেক্ষে। সরকারের পক্ষ থেকে শর্তগুলি জানাতে হবে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট কাপ্পানের জামিনের আবেদনে সম্মতি জানায়।
জামিন মঞ্জুরের আগে সিজেআই উদয় উমেশ ললিত ইউপি সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, জনসাধারণকে উসকানি সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে গ্রেফতার করা কাপ্পানের কাছ থেকে কোনও বিস্ফোরক উপাদান পাওয়া গেছে কিনা। কিংবা এমন কোনো উপাদান পাওয়া গেছে, যা দেখে মনে হয়েছে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, কাপ্পানের কাছে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে তার গাড়িতে আপত্তিকর সাহিত্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানে পিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি সেই আইনজীবীর।
Leave a Reply