কোথায় গেলে নদী, চা বাগান, জঙ্গল আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাবেন জানেন?

ভ্রমণের জন্য আপনার পছন্দ যদি পাহাড় হয় তাহলে ডেস্টিনেশন হতেই পারে দার্জিলিং। যেখানে চা বাগান, জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি নদী আর কাঞ্চনজঙ্ঘার রয়েছে অপার সৌন্দর্য। দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই রয়েছে এই মিম চা বাগান। সারা বছর নদী, পাহাড়, জঙ্গল, চা বাগানের দেখা মিললেও কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া বেশ মুশকিল। আকাশ পরিষ্কার থাকলে, কুয়াশা না থাকলে তবেই চা বাগানের মাঝ থেকে স-পরিবারে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পারেন। চা বাগানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গোটা গ্রাম। এই চা বাগানের ধারেই রয়েছে সাজানো হোমস্টেগুলোও।

লেপচাজগত ও সুকিয়াপোখরির মাঝে রয়েছে মিম চা বাগান। চা বাগানকে ছুঁয়ে যায় মেঘ। যে দিকে তাকাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। চা বাগানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় বন্যজন্তু। সহজেই দেখা মিলতে পারে হরিণের। এই গ্রামের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের একটি চা কারখানাও। গ্রাম ঘুরে দেখার সময় সেখানেও যেতে পারেন। চা বাগান ঘুরতে ঘুরতে কখন যে সময় কেটে যাবে, বোঝা যাবে না।

গ্রামের উপরে রয়েছে একটি মনেস্ট্রি। পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটে উপরে উঠলে সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট। গাড়িতেও যাওয়া যায় সেখানে। শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। আর গ্রামের নিচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা নদী। চা বাগানের মধ্য দিয়েই যেতে হয় সেখানে। গাড়িতে সময় লাগে প্রায় মিনিট তিরিশ। নদীর একপাশে সবুজ চা বাগান আর অন্যদিকে ঘন জঙ্গল। আশেপাশে কোনও জনবসতি না থাকায় জায়গা শান্ত ও নির্জন। বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে চলে যেতে পারেন নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে। এছাড়া রয়েছে একটা ভাঙা সেতু। এই সেতু পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় বিজনবাড়ি।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মিম চা বাগানের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। দার্জিলিং থেকে এই জায়গার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। নিউ জলপাইগুড়ি সরাসরি মিম আসতে চাইলে গাড়িতে খরচ পড়বে প্রায় ৩,০০০ টাকা। শেয়ার গাড়িতেও আসা যায় মিম চা বাগানে। দার্জিলিংগামী গাড়িতে চলে আসুন ঘুম। ঘুম থেকে শেয়ার গাড়িতে সুখিয়াপোখরি। আবার সেখান থেকে মিম চা বাগান। শেয়ার গাড়িতে দার্জিলিং থেকেও সরাসরি চলে আসতে পারেন মিম চা বাগান। চাইলে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করেও আসতে পারেন এখানে। সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি পড়তে পারে।