Sandeshkhali Incident: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিন সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি দিল হাইকোর্ট

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ব্রিগেডে জনগর্জন সভা তৃণমূলের। একেবারে ৬০০ নেতা-নেত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। থাকছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব তৃণমূলের অন্দরে। এদিকে এদিনই আবার জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বড় সভা করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১০ দিনে ৪ বার এলেন বাংলা। এর আগে সভা করেছেন আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে। কিন্তু, যে রবিবারের বারবেলায় ব্রিগেডে ঝড় তুলতে চলেছে তৃণমূল সেই রবিবারই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের উপর নতুন করে চাপ বাড়াতে বড় সভা করতে চলেছে পদ্ম শিবির। সন্দেশখালি চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে। সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার দক্ষিণ আখড়াতলায় দুপুর ১২ টায় সভা।

১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার সিদ্ধান্ত নেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পুলিশ সভার অনুমতি দেয়নি। এর পরই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। সওয়াল জবাব চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবীর কাছে বিচারপতির প্রশ্ন, “এই মিটিং করতে না দিয়ে আপনারা কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? আগে কোনও গোলমাল না থাকায় সেখানে ১৪৪ ধারাও ছিল না। কিন্তু মামলা করার আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এটা ইচ্ছাকৃত। আসলে সভা আটকাতেই ১৪৪ ধারা জারি। এটা অস্বীকার করবেন কী করে?”

রাজ্যের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে এরপরই বিরোধী দলনেতাকে আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত। আদালতে জানিয়েছে, সভা থেকে কোনও কটুক্তি বা কুরুচিকর মন্তব্য করা যাবে না। সভার জেরে এলাকায় যেন কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়। আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভা করতে পারবে বিজেপি।