নিউজ ডেস্ক: করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ক্রাকেন ঢুকে পড়েছে ভারত সহ বিশ্বের আরও ২৮টি দেশে। ইতিমধ্যে ৭ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ক্রাকেন। so
ক্রাকেন ভাইরাস দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম জানিয়েছে, ছত্তীসগড়, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, কর্ণাটক ও রাজস্থানে ক্রাকেন ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। ৭ জন ক্রাকেন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে করোনা টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ক্রাকেন, বি এফ-৭ এর থেকেও বেশি সংক্রামক। এই ভাইরাস ৫৬ শতাংশেরও বেশি রোগ ছড়াতে পারে। বি এফ-৭ এর থেকে এর সংক্রমণের হার প্রায় ১২০ শতাংশ বেশি। ক্রাকেন ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে মানব দেহে অ্যান্টিবডিগুলি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ৬৮ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালের
ওমিক্রনের বি এফ ৭ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে নতুন কোভিড বিধিও। দেশের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে একদিকে যেমন বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তেমনি ফের চালু হয়েছে কঠোর নজরদারিও।
ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি পরিমানে মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জিনগত বিন্যাসের পরিবর্তন হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নতুন করে তার রূপ বদল করে নেবে। ফলে সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।
Leave a Reply