ইউ এন লাইভ নিউজ: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। প্রতিদিন পথে নামছে বিভিন্ন সংগঠন। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হচ্ছে বিভিন্ন মহল। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এবার নবান্ন অভিযানের ডাক ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’। একই ইস্যুতে, ‘তিলোত্তমার বিচার চাই, দোষীদের শাস্তি চাই’, স্লোগান তুলে শনিবার লালবাজার অভিযানের ডাক বাম ছাত্র সংগঠনগুলির। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে দিন দিন প্রতিবাদের সুর আরও চড়া হচ্ছে। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে রাজ্য প্রশাসনের একাংশকে কাঠগড়ায় তুলে গলা ফাটাচ্ছে বিরোধীরা। ঠিক এই আবহে এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন কয়েক আগে ঠিক এই নামেই নবান্ন অভিযানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়ে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের তিনিও থাকবেন। তবে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার পিছনের আসলে কারা ছিলেন? তা নিয়ে দিন কয়েক ধরে ছড়িয়েছে জল্পনা। তবে শুক্রবার বিকেলে সেই জল্পনার অবসান ঘটে। গতকাল বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে তিন পড়ুয়া জানিয়েছেন তাঁরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরা শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধু হয়েছেন। এই তিন জনই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন বীরভূমের প্রবীর দাস, কলকাতার সায়ন লাহিড়ি এবং নদিয়ার শুভঙ্কর হালদাররা। এঁরা তিনজনই পড়ুয়া বলে তাঁদের দাবি। একযোগে তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকী কোনও সংগঠনের সঙ্গেও তাঁরা যুক্ত নন।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ একজন সাধারণ পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক হিসেবেই তাঁরা করতে চান। আগামী মঙ্গলবার তাঁরাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন এই তিন পড়ুয়া। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ পথে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। ‘তিলোত্তমার বিচার চাই, দোষীদের শাস্তি চাই’, স্লোগান তুলে আজ কলেজ স্ট্রিটে জমায়েতের ডাক এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং এআইডিডাব্লুএ-র। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল করে লালবাজার অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা বাম ছাত্র সংগঠনগুলির।
Leave a Reply