ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসবের সময় সবচেয়ে ব্যস্ততম হয়ে ওঠে কলকাতা শহর। দুর্ঘটনা ও সেই সংক্রান্ত জমায়েত হয়ে ওঠে এক বিরম্বের কারণ। যুগ্ম নগর পাল বা অন্য পুলিশকর্তাদের ঘরে বসে টিভিতে লাইভ দেখে তৎক্ষণাৎ এই ঘটনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কি ধরনের পদক্ষেপ এক্ষেত্রে নেওয়া হবে সেই সমস্ত আলোচনা হয়। এবছর পূজোর সময় সেই নজরদারি এবং নিরাপত্তা আরও বহুগুণ বাড়াতে পারে এমন চিন্তা-ভাবনা করছেন পুলিশ কর্তারা।
শহরের সমস্ত বড় পুজো মণ্ডপের লাইভ ফুটে সরাসরি পৌঁছবে লালবাজারে, এমনই জানালো পুলিশ কর্তা। নিজেদের ক্যামেরায় পুজোর চার দিন ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাবে পুলিশকর্তারা। মূল ভাবনা, যুগ্ম নগর পালের ঘর থেকে নজর রাখা। এই নজরদারি যেন কোন ভাবেই বিফল না যায় তাই তার জন্য আলাদা করে ক্যামেরা বসানো হবে এবং সেখান থেকেই ফিড নিয়ে চালানো হবে লালবাজারে। সেই ফুটেজেই সরাসরি নজরদারি চলবে। এ বিষয়ে লালবাজারে এক কর্তার মন্তব্য “সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই সাফল্য মিলেছে পুজোর ক্ষেত্রেও এমনটা করা গেলে ভালই হবে।”
এই পরিস্থিতিতে পূজোর পুলিশি পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৎপর হয়েছেন যুগ্ম নগর পাল সন্তোষ পান্ডে। প্রায় প্রতিদিনই আলাদা আলাদা পুরসভা এলাকা ধরে বৈঠক করছেন তিনি। সেই বৈঠকে পূজা কর্তাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্রাফিক গার্ড ও থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকেরাও থাকছেন সূত্রের খবর সেই বৈঠক অনুযায়ী মধ্য কলকাতার পুজো গুলির মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং উত্তরের পূজো গুলির মধ্যে টালা প্রত্যয় ভিড় বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই জন্য ওই দুই পুজো ঘিরে পুলিশ আলাদা পরিকল্পনার চিন্তা ভাবনা করছে।
Leave a Reply