নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান! ৪৫ দিনের মধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস। বৃহস্পতিবার পদত্যাগের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাস বলেন,“সাধারণ মানুষকে দেওয়া কথা রাখতে পারিনি। তাই পদত্যাগ করলাম।” ট্রাস সরতেই টেমসের তীরে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। `পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?’, দৌড়ে ফের একবার শোনা যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম। ট্রাস সরলেও ব্রিটিশ সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির। ফলে পরবর্তী নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবেন ব্রিটিশ রক্ষণশীলরা।
বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করে ট্রাস বলেন,“পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ব্যাপারে স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আগামী সপ্তাহেই হবে নির্বাচন। পরবর্তী নেতৃত্বের হাতেই থাকবে দেশকে এই সংকট থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব। “
আরও পড়ুন: মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে কলকাতা! আগামী ৩০ বছরেই ধ্বংসের মুখে? কী বলছে সমীক্ষা?
প্রধানমন্ত্রী হয়ে কর্পোরেট কর সামাল দিতে যান তিনি। কিন্তু কর মকুব করতে ধরাশায়ী হন লিজ ট্রাস। সম্প্রতি পেশ করা মিনি বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়। এই নিয়ে মত পার্থক্যের জেরে অর্থমন্ত্রী কাসি কোয়েরটিংকে সরিয়ে দেন তিনি। তাঁর জায়গায় জেরমি হান্টকে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাস। বুধবার ট্রাস ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেল্লা ব্রেভারম্যান। এবার ইস্তফা দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ট্রাস।