ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও তিনি আসবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। মঙ্গলবার সব জল্পনা উড়িয়ে সকাল ১১টার কিছু আগেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন নুসরত। এদিন সকালে বেশ কিছু ফাইল নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন নুসরত। সূত্রের খবর, দুই দফায় অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ৫টা ১৫ নাগাদ সিজিও থেকে বের হন নুসরত। সেইসময় অভিনেত্রীর হাতে কোনও ফাইল দেখা যায়নি। অর্থাৎ ইডি অফিসারদের সেই ফাইল জমা দিয়ে এসেছেন বসিরহাটের সাংসদ।
নুসরাত বের হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাকে ঘিরে ধরে ও একের পর এক প্রশ্ন করে। কিন্তু নুসরাত স্পষ্ট করে কোনো প্রশ্নের উত্তরই দেয়নি সাংবাদিকদের। অন্যদিকে ইডি সূত্রে পাওয়া খবর, তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থায় ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, কীভাবে তিনি ডিরেক্টর হয়েছিলেন, কোনওভাবে তিনি আর্থিকবাবে লাভবান হয়েছিলেন কিনা তাও জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতারণার দু’কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নুসরত। তা নিয়েও এদিন নুসরতকে নানা প্রশ্ন করা হয় বলে খবর। ফ্ল্য়াট কেনার টাকার উৎস সম্পর্কিত যাবতীয় নথি নুসরত ইডির কাছে জমা দিয়েছেন বলে খবর।
Leave a Reply