নিউজ ডেস্ক: আচ্ছে দিন। সাধারণ মানুষের জন্য না হলেও ধর্ষকদের জন্য তো বটে। কেন? কারণ অভিযোগ উঠেছে, একদিকে সাক্ষীদের হুমকি দিয়েও ‘ভালো আচরণের’ জন্য মুক্তি পাচ্ছে ধর্ষকরা। অন্যদিকে, ধর্ষণ করেও নাবালিকাকে প্রাণে না মারায়, ধর্ষকের ‘দয়ালু’ মনোভাবের জন্য সাজা কমিয়ে দিচ্ছে হাইকোর্ট।
‘আমরা নির্দোষ। আপনি কি একজন কাকা-ভাইপোকে, একে অপরের সামনে কাউকে ধর্ষণ করতে দেখেছেন? এটা কি হিন্দু সম্প্রদায়ে ঘটে? না, হিন্দুরা এইরকম করে না।’ বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে গোবিন্দ নাই নামে একজন ব্যক্তির এই দাবি ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই ধর্ষণের পর নাবালিকাকে প্রাণে না মারার কারণে সাজার সময়সীমা কমানো হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
শনিবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি সুবোধ অভয়ঙ্কর এবং বিচারপতি এসকে সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ এক ধর্ষণ মামলায় মন্তব্য করেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ ‘বীভৎস’ হলেও চার বছরের নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি অপরাধী। ‘দয়া’ দেখিয়ে তাকে যেতে দিয়েছেন। এই বিষয়টি নজরে রেখে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হচ্ছে।
অপরাধীর সাজা কমানোর আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নারীদের সম্মান করেন না অপরাধী। তাঁর মধ্যে শিশুদের প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতাও রয়েছে। তাই অপরাধীর সাজা কমানো যায় না। তবে, অপরাধী নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি বলে তাঁর সাজা কমিয়ে আনা যেতেই পারে।
আরও পড়ুন : দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পে ২৩৮ জন জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন ফিরহাদ
Leave a Reply