করোনায় মৃত ব্যক্তি ফিরে এলেন পায়ে হেঁটে

নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর ৪০ এর এক যুবকের। পরিবারকে এমনই জানিয়েছিল হাসপাতাল।  প্লাস্টিকের প্যাকেটবন্দি দেহ একবার বাইরে থেকে দেখিয়ে পুরসভাই ওই যুবকের 

শেষকৃত্যও সেরে ফেলে।  ২ বছর পর ফিরে এলেন সেই মৃত ব্যক্তিই  নিজের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন!

এমনই বিষ্ময় করা ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায়। ওই যুবকের নাম কমলেশ পতিদার। 

 

২০২১ সালে বাদভেলিতে ছিলেন কমলেশ। সেই সময় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এবং স্থানীয় হাসপাতালে শয্যা না থাকায় তাঁকে বরোদার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কদিন পরেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে রোগীর। প্লাস্টিক দিয়ে আপাদমস্তক থাকা অবস্থায় তাঁর ‘দেহটি’ একবার দেখতে দেওয়া হয় পরিবারকে। তারপর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে প্রশাসনের তরফেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় তাঁর।

সেই ঘটনার পর কেটে গেছে দু’বছর। এরপর গত শনিবার হঠাৎ করেই মধ্যপ্রদেশের বাদভেলিতে নিজের মামার বাড়িতে এসে হাজির হন ‘জীবন্ত’ কমলেশ। তাঁকে দেখে সকলে চমকে ওঠেন। পরে পরিবারের লোকজনকে সমস্ত কথা খুলে বলেন ওই যুবক।

তিনি জানান, বরোদায় হাসপাতালে থাকার সময় আদৌ তিনি মারা যাননি, বরং সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পর জনা ছয়েক দুষ্কৃতী তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে নিজেদের জিম্মায়। একদিন অন্তর তাঁকে মাদকদ্রব্যের ইনজেকশন দেওয়া হতো। তাতেই ঝিমিয়ে থাকতেন তিনি। 

শুক্রবার একটি গাড়িতে করে কমলেশকে নিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছিল ওই দুষ্কৃতীরা। গাড়িতে তাঁকে রেখেই রাস্তার ধারের একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়েছিল। সেই সুযোগেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন কমলেশ। রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি ইন্দোর-আমদাবাদ যাত্রীবাহী বাস দেখতে পেয়েই সেটিতে উঠে পড়েন তিনি। আচ্ছন্ন অবস্থাতেই কোনও মতে সর্দারপুরে নামেন। সেখান থেকে স্থানীয়দের সাহায্যে এসে পৌঁছান বাদভেলিতে মামার বাড়িতে।

ঘটনায় ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।