সুইট হ্যাপি জার্নিকে সঙ্গী করে ঘুরে আসুন ওয়াইল্ড মধ্যপ্রদেশ

ভ্রমণ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়চ্ছে শীত। আর শীতকাল মানেই উড়ু উড়ু মন। অনেকেরই ইচ্ছে করে ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে পড়তে। যদি আপনিও সেই দলে পড়েন তাহলে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন। সুইট হ্যাপি জার্নি আপনাকে করে দিচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ভ্রমণের এক দারুন সুযোগ। ১২ দিনে ঘুরে দেখতে পারবেন মধ্যপ্রদেশের নানা দর্শনীয় স্থান।

১২ দিনের সফরে ঘুরে দেখতে পারবেন ইউনিস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়া খাজুরাহ মন্দির, কেন্দ্রীয় মহাদেব মন্দির, লক্ষ্মণ মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, বন্ধনগড় ন্যাশেনাল পার্ক, বেগম প্যালেস ও আরও অনেক কিছু।

খাজুরাহো মানেই একটা কৌতূহল, রহস্য, ঠোঁট চাপা মুচকি হাসি! মন্দিরের আনাচে কানাচে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক কাহিনী। ৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৫০ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে চান্দেলা রাজবংশ এখানে ২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির তৈরি করেছিল। মন্দিরগুলি চমৎকার কারুকাজ এবং ঐতিহাসিক মূল্যের কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ১৯৮২ সালের ১৫ অক্টোবর মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো। অনেকগুলি মন্দির জুড়ে তৈরি হয়েছে এই ঐতিহাসিক স্থান। যার মধ্যভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় মহাদেবা টেম্পল। সেই বেদীতে অধিষ্ঠিত দেবাদিদেব মহাদেব। আশে পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম অবয়ব।

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরটি প্রাসাদ এবং মন্দিরের জন্য পরিচিত। শহরের প্রধান আকর্ষণ হল, সাস-বহু কা মন্দির। যা একটি সুন্দর খোদাই করা মন্দির। প্রাচীন গোয়ালিয়র দুর্গ। পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে একটি প্রধান স্থান। বেলেপাথরের প্রাসাদটি শহরটিকে উপেক্ষা করে এবং চড়াই-উৎরাই পথে যাওয়া যায়। দুর্গ কমপ্লেক্সে একটি ১৫ শতকের গুজরি মহল প্রাসাদও রয়েছে, যেটি এখন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য জায়গা গোয়ালিয়রের আগ্রহের বিষয় হল জয় বিলাস প্যালেস, তেলি কা মন্দির, গুজারি মহল, গোয়ালিয়র চিড়িয়াখানা, ইত্যাদি।

কানহা টাইগার রিজার্ভ বা কানহা–কিসলি জাতীয় উদ্যান ভারতের বাঘ সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত৷ এখানে প্রায় প্রতিদিনই বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। এখানে চিতাবাঘ, হরিণ, ভালুক, বড়সিংহ ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্রাণীও দেখতে পাওয়া যায়। রিজার্ভের চারপাশের বিভিন্ন গাছে প্রচুর সংখ্যক পাখিও পাওয়া যায়।  যা পাখিদের জন্য উপযুক্ত জায়গা দেয়। গ্রীষ্মকালে বাসা বাঁধে।

বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান হল রাজ্যের আরেকটি বড় বাঘ সংরক্ষণাগার। ১০৫ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত এই জীববৈচিত্র্য পার্কে রয়েছে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মোটামুটি বড় সংগ্রহ। সাদা বাঘ, চিতাবাঘ এবং হরিণের মতো অন্যান্য প্রাণীও দেখতে পাবেন।

জবলপুর মধ্যপ্রদেশের একটি শহর। একানেই ১২ শতকে বিখ্যাত মদন মহল দুর্গ নির্মিত হয়েছিল। এছাড়াও শতাব্দী প্রাচীন পিসানহারি কি মাদিয়া জৈন মন্দিরটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ। এখানকার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান হল জৈন মন্দির, হনুমন্তল বড় জৈন মন্দির, রানি দুর্গাবতী যাদুঘর এবং চৌসাথ যোগিনী মন্দির। শহরটি ভেদাঘাট জলপ্রপাতের জন্যও বিখ্যাত, যা মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দর্শনীয় জলপ্রপাতটি সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য এবং মধ্যপ্রদেশের অতুলনীয় সৌন্দর্যের প্রমাণ দেয়।

বিষদ জানতে যোগাযোগ করুন-

সুইট হ্যাপি জার্নি

ফোন নম্বর- 033 2414 5040, 9073661975

ইমেল- info@sweethappyjourney.com

sweethappyjourney@gmail.com

website- www.sweethappyjourney.com