নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের সামনেই কুখ্যাত অপরাধী আতিক আহমেদকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই যোগী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশে আইন শাসন ভেঙে পড়েছে সেখানে পরাজয় কথা চলছে।
উত্তরপ্রদেশে খোলাখুলি গুন্ডাগিরি চলছে। নইলে দুষ্কৃতীরা পুলিশের ভয়কে তোয়াক্কা করে এভাবে ঢুকে পড়তে পারে! তৃণমূলনেত্রীর কথায়, এ ঘটনা ভয়াবহ। দুষ্কৃতীরা নিজেদের হাতেই আইন তুলে নিচ্ছে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই দুবৃত্তায়ণ কখনওই চলতে পারে না।
জেল হেফাজতে ছিল আতিক। তাকে পুলিশ প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। সেই সময়ে তিন দুষ্কৃতী মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে যেভাবে আতিক ও তার ভাই আশরাফকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে তা বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আতিক কুখ্যাত মাফিয়া সন্দেহ নেই। কিন্তু পুলিশি প্রহরার মাঝে তাকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হল, দুষ্কৃতীরা পুলিশকে ভয় পায়নি।
এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতারাও। কপিল সিব্বল বলেছেন, শনিবার রাতে দুটো খুন হয়েছে। এক, আতিক আহমেদ ও আশরাফ। এবং দুই, আইনের শাসন।
বিরোধীদের অনেকের অভিযোগ, এ ঘটনাও সাজানো এনকাউন্টার হতে পারে। এবং হতে পারে এও উদ্দেশ্য ছিল যে সেই এনকাউন্টার ক্যামেরার সামনে হোক। যাতে ভয়ের পরিবেশ কায়েম করা যায়। সেই সঙ্গে এর থেকে মেরুকরণের রাজনীতির পুরো ফায়দা নেওয়া যায়।
রবিবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের অন্য নেতা নেত্রীরাও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, এর পর উত্তরপ্রদেশে কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে না? শুভেন্দু অধিকারীরা এর জবাব দিতে পারবেন কি!
আবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন,“ বিজেপি ভারতকে মাফিয়া রিপাবলিক বানিয়ে ছেড়েছে। আমি এটা এখানে, বিদেশে, সব জায়গায় গিয়ে বলব। কারণ এটাই সত্যি”।
Leave a Reply