Mamata Banarje

Mamata Banarjee:রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা

ইউ এন লাইভ নিউজ: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শোরগোল তৈরী হয়েছিল। তা নিয়েই প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়নার নির্বাচনী সভা থেকে সিভি আনন্দ বোস কে কটাক্ষ করলেন তিনি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শোরগোলের আবহে রাজভবনে রাত্রিবাস করা সত্ত্বেও, কেন এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করলেন না প্রধান মন্ত্রী মোদি সে নিয়ে প্রশ্নও করেন মমতা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনিঁ শ্লীলতাহানির শিকার। প্রথমে রাজভবনের পুলিশকে এবং পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে তৃণমূলের তরফে। শুক্রবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়নার সমাবেশ থেকে রাজ্যপালকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে সন্দেশ করেছেন। আমি তেমন কোনও ঘটনা সন্দেশখালিতে ঘটাতে দিইনি। জমিজমা নিয়ে সমস্যা ছিল। অফিসার পাঠিয়ে সমাধান করে দিয়েছি। আর আপনি কী করছেন? একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত। তাঁর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল? আপনি আমায় কালকেও বলে পাঠিয়েছেন আমার মন্ত্রী কেন এসব বলেছেন। আমার কাছে এমন হাজারটা ঘটনা এসেছে। আমি কোনওদিন কিছু বলিনি। কিন্তু কালকের মেয়েটার কান্নায় আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছে। রাজ্যপাল পরপর দুবার শ্লীলতাহানি করেছে। আমি তো তাঁর কান্না দেখলাম। ভিডিও এসেছে। মন দিয়ে দেখেছি।”

এদিকে, শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার আবহে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন মোদি। রাজভবনে রাত্রি বাসও করেন মোদী। শুক্রবার তিনি তিনটি নির্বাচনী জনসভাও করেন। অথচ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে একটি শব্দও প্রকাশ করেননি মোদি। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী কে নিশানা করে মমতা বলেন, “সেখানেই তো আপনি কাল থেকে এলেন, কই একটা কথা তো বললেন না। আপনার লোকজন তো ছিল, যখন কেঁদে মেয়েটা বেরল। মেয়েটা বলছে আর আমি রাজভবনে চাকরি করতে যাব না। ভয় পাচ্ছে। যখন তখন ডেকে খারাপ ব্যবহার করবে। অসম্মান করবে। আপনি মা-বোনেদের নিয়ে কথা বলছেন? লজ্জা নেই? আপনার তো দাঁতের পাটি খুলে যাওয়া উচিত। মাড়ি থাকা উচিত না দাঁতের।” যদিও শ্লীলতাহানির অভিযোগ কে অস্বীকার করেন রাজ্যপাল। এবং তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে মোট প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।