নিউজ ডেস্ক : শেষরক্ষা হলো না। মৃত্যু হল নৈহাটিকান্ডে গুলিবিদ্ধ মহম্মদ জাকিরের। শনিবার ভরসন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন তৃণমূল কর্মী জাকির। একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর শরীর। তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। রবিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় জাকিরের।
কাঁকিনাড়া, নরেন্দ্রপুরের পর গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার শিবদাসপুরে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। অভিযুক্তদের খোঁজে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। শিবদাসপুরে গুলি-বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই এর নেপথ্যে মাদকচক্রের রমরমার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার পিছনে মাস্টারমাইন্ড এক নাবালক। মাদক কারবারেও হাত পাকিয়েছিল অভিযুক্ত নাবালক। কয়েকমাস আগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রেফতারও হয় সে। কিছুদিন হোমে কাটিয়ে ফিরে আসে গ্রামে। এরপরই তাঁর মাদক কারবারের প্রতিবাদ করেছিলেন জাকির। সেই কারণেই এই হামলা বলে অনুমান।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই হামলা। শনিবার সকালে অভিযুক্তের দাদাকে মারধর করা হয়েছিল, সেই ঘটনার বদলা নিতেই পাল্টা হামলা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যেয় চায়ের দোকানে বসেছিলেন জাকির। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়, এরপর ছোঁড়া হয় বোমা।
আরও পড়ুন : “হ্যালো রিমেম্বর মি?’ সিরিজ নিয়ে সমালোচনার জবাবে মুখ খুললেন ঈশা সাহা
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃনমূল কর্মী জাকিরের। পাশাপাশি বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন ইউসুফ আলি মণ্ডল নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসী। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত নাবালকের।
Leave a Reply