নিউজ ডেস্ক: বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এদিন তিনি আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিটে দুর্নীতি করতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’। তদন্ত করার সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
ওএমআর শিটে অনেকগুলি উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তর নির্বাচনের জন্য যে গোল জায়গাগুলি থাকত সেখানেই এই ‘গোপন সঙ্কেত’ ব্যবহার করা হত। নির্দিষ্ট দুটি প্রশ্নের জন্য ওএমআর শিটে গোল শূন্যস্থান পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হত। বাকি উত্তরপত্রগুলি ফাঁকা রেখে দেওয়া হত। আর ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর দেখেই চাকরি দেওয়া হত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির আইনজীবী জানান, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এভাবেই নিয়োগ হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।
স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযু্ক্ত মানিক এবং কুন্তল দুজনেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের শুনানি ছিল। আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা বিপদের মুখে পড়েন পলাশিপাড়ার অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় পড়ে যান মানিক। মুখে-বুকে চোটও পান তিনি।
Leave a Reply