Manik Bhattacharya: পলাশিপাড়ার বিধায়কই চাকরি বিক্রির মাথা, দাবি ইডির

নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হয়েছেন গ্রেফতার। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা রাতভর করেছে জিজ্ঞাসাবাদ। সেই থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মানিক ভট্টাচার্যের সময় ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে ৫৮ হাজারেরও বেশি, এমনটাই দাবি ইডির।

মানিক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন প্রায় ১০ বছর। ২০১১ সাল থেকে মানিক শুধু ৫৮ হাজার ভুয়ো নিয়োগ করেনি। তার পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি, তাতেও নাম রয়েছে মানিকের। গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয় সেখানেও বিপুল পরিমান টাকার ‘নয়-ছয়ে’র প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় মানিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে নথি জমা দিয়েছিলেন, সেখানেও ছিল একাধিক গরমিল। এত কিছু প্রমান পাওয়ার পর গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা মানিক ভট্টাচার্য, পরিষ্কার দাবি জানিয়েছে ইডি। ইডি-র রিম্যান্ড লেটারে উঠে এসেছে এই তথ্য।

ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বিভিন্ন জেলার নিয়োগকারীদের সঙ্গে মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে মানিকের। প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়েও করা হয়েছে একাধিক মেসেজ। পাশাপাশি, মানিকের মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK।

আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে এনামুলের ভাগ্নেদের ফ্রিজ হওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করতে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন

প্রসঙ্গত, সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিককে ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠান হয়। ইডির তরফে তাঁকে যে সময়ে তলব করা হয়েছিল, সেই সময়ের অনেক পরে তিনি হাজির হন। এরপর রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। রাত থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসঙ্গতি এবং জেরায় অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পলাশিপাড়ার বিধায়ককে।

আরও পড়ুন: ১৫ই ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এবছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ফের সাজবে তিলোত্তমা