ইউ এন লাইভ নিউজ: ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মুখে শোনা গেলো ‘দিওয়ার’ সিনেমার সেই বিখ্যাত সংলাপ। তবে সংলাপের কিছুটা রদবদল করে ‘মেরে পাশ মা হ্যায়’-এর জায়গায় বললেন ‘মোদী হ্যায়।’ পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে তিনি বললেন, ‘মেরে পাস মোদি হ্যায়, অ্যাটম বোম সে নেহি ডরতে।’ অর্থাৎ, ‘আমার কাছে মোদি আছেন, পরমাণু বোমাকে ভয় পাই না।’ পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুটি লোকসভা নির্বাচনী প্রচারণায় তাৎপর্যপূর্ণ প্রাধান্য পেয়েছে, যা সীমান্তের ওপারে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ইস্যু নিয়েই কংগ্রেস নেতা মণিশংকর আইয়ার কিছু দিন আগে বলেছিলেন, পাকিস্তানের হাতে পারমানবিক বোমা রয়েছে তাই মোদি সরকারের উচিৎ পাকিস্তানকে সম্মান করা। যদি কোনও পাগল ক্ষমতায় আসে সেক্ষেত্রে বলা যায় না কোথা থেকে কী হয়ে যেতে পারে। তবে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাদের নিশানায় নিয়েছে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে শাহ তাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যোগীজি মুখ্যমন্ত্রী হলেন এখানে। এর পর থেকে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন গোটা দেশ দেখেছে। আগে এখানে দেশি পিস্তল তৈরি হত। এখন এখানে ডিফেন্স করিডোর তৈরি হয়েছে। এখন কামানের গোলা তৈরি হয়। এর রেশ ধরেই শাহ বলেন, পাকিস্তান যদি কোনও রকম ভুল পদক্ষেপ নেয়, সেক্ষেত্রে এই বুন্দেলখণ্ডের কামানের গোলা পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়বে এবং গোটা পাকিস্তানকে সাফ করে দেবে।’
পাকিস্তানের প্রতি তার সতর্কবার্তা ছাড়াও, শাহ কংগ্রেসকে ভারতকে বিভক্ত করার চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করেছেন, তিনি দাবি করেছেন যে দলটি দেশকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিভক্ত করার পক্ষে সমর্থন করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কংগ্রেস চায় দেশকে ভাগ করতে। ওরা বলে দক্ষিণ ও উত্তর ভারত দুই অংশে দেশকে ভাগ করা হোক। মোদিজির উপস্থিতিতে কেউ ভারত ভাগ করতে পারবে না। এই নির্বাচনের একদিকে রয়েছে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতিকারী ইন্ডিয়া জোট ও অন্যদিকে একা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যিনি গত ২৩ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কখনও ২৫ পয়সারও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি।’
Leave a Reply