Prasanna Roy

Bengal Recruitment Case: চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয়! প্রসন্নের অবিশাস্য দাবি মানতে নারাজ ইডি

ইউ এন লাইভ নিউজ: নিয়োগ মামলার তদন্তে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থা থেকে ২৬ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে ইডি, সে টাকা নাকি সে চাষবাস করে আয় করেছে। কলা, ক্যাপসিকাম, আখ থেকে শুরু করে টম্যাটো, নারকেল, সর্ষে-বাদ নেই কিছুই চার্জশীটে রয়েছে সব কিছুরই নাম। প্রসন্নের দাবি তিনি জমিতে চাষ করে, গত কয়েক বছরে ২৬ কোটি টাকা রোজগার করেছেন। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সংস্থা, তারা জানিয়েছেন প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থার অধীনে যে সমস্ত জমি রয়েছে, তাতে আদৌ কোনও চাষই হয়নি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, তাকে রাখা হয়েছে জেল হেফাজতে। ইডি আরও জানিয়েছে, প্রসন্নের নামে মোট ৯১টি সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থা থেকে ২৬ কোটি এক লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭২ টাকার খোঁজ পেয়েছে ইডি। প্রসন্নের প্রতিটি সংস্থার অধীনে বেশ কিছুটা করে জমি কেনা রয়েছে সেই কৃষিকাজের সূত্রেই এত আয় করেছেন বলে দাবি প্রসন্নের। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী কাজল সুনি রায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের থেকে মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, প্রসন্নের স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। তাই পরিস্থিতি বুঝে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল সিবিআই।

একদিকে যেখানে প্রসন্নের দাবি যে তিনি চাষ করে কোটি কোটি আয় করেছেন, অন্যদিকে ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তিনি বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন বলেই ইডির অনুমান। আরবান সিলিং আইনের উল্লেখ করে ইডি বলে যে কোনও সংস্থা নিজের অধীনে সর্বোচ্চ সাত কাঠা জমি রাখতে পারে এবং প্রসন্নর নামে থাকা ৯১টি সংস্থার অধীনে সাত কাঠা করেই জমি রয়েছে। আইনের চোখ এড়াতেই তিনি এতগুলি সংস্থা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছে ইডি। এসএসসি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের প্রসঙ্গে প্রসন্নের নাম উঠে আসে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও প্রসন্নের যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায়। প্রসন্ন কে গ্রেফতার করা হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়নি। চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তাঁর প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রসন্ন। তারপরে বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর তাঁকে আবার ইডি গ্রেফতার করে।