নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ পরিষেবায় একাধিক গাফিলতি নিয়ে রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গর্ভবতী মহিলাদের রেফার রোগের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রেফার বিষয় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। যেই রেফারের ঘটনাগুলির জন্য গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়েছে, সেগুলির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, সোমবার স্বাস্থ্য সচিবকে বলা হয়েছে পরিসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিজে উপস্থিত থেকে খতিয়ে দেখবার জন্য।পাশাপাশি সারপ্রাইজ ভিজিটের পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিষয় মুখ খোলেন মমতা ব্যানার্জী, তিনি বলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ফেরানো যাবে না কোনও মতেই,যে সমস্ত হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এছাড়াও যদি কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকে এবং তিনি তা কোনও কারনে নিয়ে যেতে না পারে, তখন তাঁকে ফেরানো যাবে না। ভর্তি নিতে হবে এবং পরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংক্রান্ত নিয়মবিধি পূরণ করতে পারেন সেই ব্যক্তি।
এখানেই শেষ নয়, শিশুদের হার্টের অপারেশন চালু করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার এনআরএস ও এসএসকেএম হাসপাতালে এই চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে,যাতে ‘শিশুসাথী’ কার্ডের টাকা বেসরকারি হাসপাতালে না যায়। স্বাস্থ্য কাঠামোকে ঠিক করার জন্য সাংসদ তহবিলের টাকা ব্যবহারের ও নির্দেশ দেন তিনি।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু আমাকে বলে দিতে হবে? নিজের কাজ নিজেকে বুঝে নিতে হবে। কোনও ফাঁকিবাজি চলবে না।’ তিনি জানান, “জেলাগুলিকে বলছি দয়া করে রেফারেল কেস কমান। গর্ভবতী মাকেও আপনারা ক্রিটিক্যাল কেস বলে রেফার করে দিচ্ছেন। তিনি যখন দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা যাত্রা করে কলকাতায় এসে পৌঁছছেন অপারেশনের আগেই মারা যাচ্ছেন। এই ধরনের রেফারের জন্য যে রেফার করছেন তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেন গর্ভবতী মহিলাদের এভাবে রেফার করা হবে? আগে বাড়িতেই সন্তান জন্ম নিত। এখন যদি ৯৯ শতাংশ ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি হয় সেক্ষেত্রে কেন রেফারের বিষয়টি থাকবে!”
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখোমুখি হলেন স্বাস্থ্যসচিবও। তাঁকে উদেশ্য করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, “তুমি খুব উইক। স্ট্রং হও। প্রয়োজনে নরম আবার প্রয়োজনে কড়া হও। মাঝে মাঝে হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করো। ফেয়ার প্রাইস শপে যাও। সাধারণ মানুষের লাইনে দাঁড়াও।”
আরও পড়ুন : জোড়াসাঁকো : ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের চিত্র নামিয়ে লাগান হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ ও ‘অভিষেকে’র ছবি
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, রেফার কেস আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে রাজ্যে । ৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪ শতাংশ। সমস্যা আরও কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : “শুধু ভাইপো নয়, এবার পিসিকেও যেতে হবে”, তৃণমূলকে ফের সারদা খোঁচা শুভেন্দুর
Leave a Reply