নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন ‘তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতাই অসৎ’। শুভেন্দুর এই বক্তব্যে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই কটাক্ষের সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা গেল আরেক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার কণ্ঠে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হুগলির চুঁচুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিস্ফোরক দাবি জানালেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মহাগুরুর দাবি, তৃণমূলের অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দাবি জানিয়ে মহাগুরু বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর নয়”।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাভবনে প্রাক্-পুজো সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের বৈঠকে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মিঠুন বৈঠকে প্রকাশ্যে জানান, “এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবাই তো চুরি করেননি। আসলে ২১ জন নয়, আমি ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়কের কথা বলেছি। এ ছাড়াও আরও তৃণমূল বিধায়ক আছেন, যাঁরা সরাসরি দিল্লির (বিজেপির) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”
মিঠুনের বিস্ফোরক মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সুকান্ত বলেন, “মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না।”
মিঠুনের এই বক্তব্যে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বহু তাবড় তাবড় নেতৃত্ব। মিঠুনকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলে, “মিঠুন নিজেই নানা কেলেঙ্কারিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অনেকগুলোর কথা আমরাই জানি না। উনি এ সব থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। আমি ওঁকে জোয়ানের হজমি গুলি পাঠিয়ে দেব।”
বাদ যায়নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,“এটা ওদের পার্টির ব্যাপার। কাকে নেবে কাকে নেবে না সেটা ওঁরা জানেন। তবে এ টুকু বলতে পারি, তৃণমূল ও বিজেপি মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ! বাংলায় বিধায়ক কেনা বেচার রাজনীতি শুরু করেছে ওরাই। গণতন্ত্রটাকে শেষ করেছে। আগে আলু দিয়ে চপ শিল্পের কথা বলত তৃণমূল। এ বার চপ ভাজার অধিকার চাইছে বিজেপি।”
আরও পড়ুন: উদ্বেগে রাজ্যবাসী, পুজোর আগেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি
Leave a Reply