নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এসসিও বৈঠকে যোগদান করে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। গত ৯ মাস ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শুধু দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নয়, পারিপার্শ্বিক দেশের অবস্থাও হয়ে উঠেছে শোচনীয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে বললেও, তাতে কর্ণপাত করেননি পুতিন। এমনকি আমেরিকাসহ বেশ কিছু দেশের নিষেধাজ্ঞাকেও পাত্তা দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা কি আদৌও কার্যকর হবে? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি তবে এবার যুদ্ধের ঝাঁজ কমাবে, সেইদিকেই নজর সকলের।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমরখন্দে SCO শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৮ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। কিন্তু সকলের নজর ছিল মোদি-পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রুশ প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, ‘এখন যুদ্ধের সময় নয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রধান উদ্বেগের বিষয় খাদ্য, সার এবং জ্বালানী নিরাপত্তা। এই বিষয়ে আগেও আমরা ফোনে কথা বলেছি।’
গত কয়েক মাসে বদলে গেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এনেছে আমূল পরিবর্তন। পাল্টে গেছে বিশ্বের দৃশ্যপট। পুতিন জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাও সেখানে হয়েছে ব্যর্থ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বেড়েছে ভারতের। এমনকি এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। যখন বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ রাশিয়ার বিরোধিতায় একজোট হয়েছিল, তখনও বন্ধু দেশের সাথ ছাড়েনি ভারত। আর সেই সুবাদেই যুদ্ধের মধ্যেও রাশিয়া ভারতকে রেয়াতি হারে তেল দিয়েছে। বর্তমানে এসসিও বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও পুতিন। উভয়ের মধ্যে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও। প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নতুন সমীকরণ তৈরির আশার আলো আন্তর্জাতিক মহলে।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে অমরেন্দ্র! পদ্মে মিশছে পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস!