ইউ এন লাইভ নিউজ: পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের জন্য উড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে পোল্যান্ড সফর সফল হয়েছে মোদির। এরপরই ইউক্রেন সফরের জন্য রওনা দিয়েছিলেন নমো। রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু দিনের সফর সেরে পোল্যান্ড থেকে সরাসরি ট্রেনের মাধ্যমে শুক্রবার মোদি নামলেন ইউক্রেনের রাজধানী কিভে। কিভের স্টেশনে মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন ইউক্রেনের সব বড় মন্ত্রী, অধিকারিকরা। শুক্রবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিতে চলেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত মোদি। ইউক্রেনে দ্রুত শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কদিন আগেই মোদি রাশিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে সে দেশের সবচেয়ে বড় নাগরিক সম্মান নিয়ে এসেছিলেন। পুতিনকে মোদি জড়িয়ে ধরেছেন দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনওদিকে না ঝুঁকে ভারসাম্য বজার রেখে শান্তি ফেরানোর জোর দিচ্ছে ভারত।
পুতিনকে আলিঙ্গন করার ছবি সামনে আসার পর জেলেনেস্কি বলেছিলেন, “মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে বর্বর অপরাধীকে আলিঙ্গন”। এখন তিনিই কিয়েভে মোদিকে স্বাগত জানাবেন। তবে তাঁকেও মোদি একই বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেটা হল, “যুদ্ধ করে কোনও সমাধান মিলবে না।” প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মোদির। তার আগে যুদ্ধরত রাশিয়া এবং ইউক্রেনে সফর কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
মোদির ইউক্রেন সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। তিন দশক পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন। তবে গত তিন বছরে জেলেনেস্কির সঙ্গে তিনবার মুখোমুখি হয়েছেন মোদি। চলতি বছরের জুন মাসে আলিপুয়াতে জি৭ সম্মেলনে, গত বছর হিরোশিমাতে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে এবং ২০২১ সালে গ্লাসগোতে। পাশাপাশি ২০২০ সালের পর থেকে একাধিকবার ফোনেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। মার্চের শুরুতে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ভারতে এসেছিলেন। স্পষ্টতই, উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। প্রথম ইউক্রেন সফরে মোদি শান্তির বার্তাই দেবেন বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর থেকে কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর কথা বলে এসেছেন মোদিও। এই সফরে তাই মনে করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেবেন মোদি।