Durand Cup 2022: ডার্বি জিতেও পরের রাউন্ডে অনিশ্চিত এটিকে মোহনবাগান

মোহন বাগান – ১  :   ইস্ট বেঙ্গল – ০

( সুমিত পাসি – আত্মঘাতী )

স্পোর্টস ডেস্ক: এই টুর্নামেন্টে ডার্বি ম্যাচের আগে একটিও গোল করতে পারেনি। সেটাই হল, রবিবারের কলকাতা ডার্বিতে। প্রথম অর্ধের ইনজুরি টাইমে গোল হল। সেই গোলে বল জড়ালো নিজেদের জালে।  আত্মঘাতী গোল! এক সাধারণ কর্নার কিকে গোল। গোলের সময় বলের ধারে কাছে কোনও মোহন বাগান ফুটবলার।

বিরতির সামান্য কিছুক্ষণ  আগে লিস্টন কর্নার নেন। বলের গতিপথ বুঝতে পারেননি গোলকিপার কমলজিৎ। সেই বল সোজা গিয়ে পড়ে সুমিতের শরীরে। সুমিত পাসি – লাল হলুদ ব্রিগেডের রক্ষণে বল বিপদসীমার বাইরে পাঠাতে গিয়ে বল নিয়েই গোললাইন টপকে গেলেন! এই গোলেই সবুজ মেরুন ব্রিগেড ডার্বি জয়ের ধারা ধরে রাখলো। পরপর ছয় বার জিতে মাঠ ছাড়লো। প্রথম বার এই টুর্নামেন্ট এটিকে মোহনবাগান পুরো ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলল। মোট ৪ পয়েন্ট পেয়ে তিন নম্বর স্থানে। এই গ্রুপে মুম্বই এফসি আর রাজস্থান ইউনাইটেড প্রথম দুই স্থানে। সোমবার দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে, গ্রুপে পয়লা নম্বর দখল করতে।

ম্যাচটিতে জিতলেও মোহনবাগান পরের রাউন্ডে খেলার অনিশ্চয়তা রয়েই গেল। মর্যাদার লড়াই , আড়াই বছর পর কলকাতা ডার্বিতে তারাই জিতে মাঠ ছাড়লো।

জাতীয় দলের কোচ থাকার সময় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের প্রথম লক্ষ্য ছিল, মজবুত রক্ষণ সাজিয়ে খেলা। যাতে দলের জালে বেশিবার বল না জড়ায়। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ত্ব নিয়ে সেই ভাবনা আঁকড়ে দলকে খেলেছেন। তাই এই ডার্বি  দল গঠনেই চমকের দেখা মিলল। প্রথমার্ধে খেললেন  চার বিদেশি– কারালাম্বোস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, আলেক্স লিমা আর এলিয়ান্দ্রোকে।  এটিকে মোহনবাগানের চার বিদেশি খেললেন –  পোগবা, কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ এবং হুগো বুমোস।

শুরু থেকেই ম্যাচের লাগাম হাতে নিতে আক্রমন শুরু করে এটিকে মোহনবাগান।  ইমামি ইস্টবেঙ্গল সচেতন ছিল এই পর্বের জন্য।  রক্ষণভাগের লক্ষ্য ছিল একটাই, গোল খাওয়া চলবে না।

এই ম্যাচে গত কলকাতা ডার্বিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া লাল হলুদ ব্রিগেডকে দেখা যায়নি। সমানে টক্কর দিয়েছে। গোলের সুযোগও বের করেছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি।

মাঠ ছিল দর্শক ঠাসা। সবুজ মেরুন আর লাল হলুদ রঙের ছিল যুবভারতী অন্য আমেজে। 

https://twitter.com/RajKotharii/status/1563875166211686401?t=6zgOFXY6R19zI2X0lMrmMw&s=19

আর মোহন বাগান ম্যাচে বল দখলের নিরিখে এগিয়ে থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ পায়। কিন্তু সেই ফিনিশিং ব্যর্থতা। বলা ভাল , ভাগ্যদেবী তাদের দিকে ঢলে থাকায় ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে।

ম্যাচ হেরে গেলেও ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকরা খুশি। দল লড়েছে, এই টুকু সময় দল সাজিয়ে, অনুশীলন সেরে। আশার তারা, আরও ভালো খেলবে দল।