ইউ এন লাইভ নিউজ: পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমী জলবায়ু ঢুকে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকাল ঢুকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে পাকাপাকিভাবে এতদিন পরে গোটা রাজ্যেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। বর্ষা মানেই ভাজা পোড়া রকমারি খাবার খাওয়ার দিন। কিন্তু এই বর্ষায় মোটেও খাবেন না এই সবজিগুলি। খেলেই পেটের সমস্যা অনিবার্য। তাই এই ধরনের সবজিগুলি এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তবে প্রচুর সবজি রয়েছে যেগুলি বর্ষাকালে বিশেষ করে স্বাস্থ্যের উপকারী।
প্রধানত বর্ষাকালে এড়িয়ে চলতে হবে বাধাকপি, পালং, লেটুস শাকসহ নানা ধরনের শাক আর সবজি। কারণ অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এগুলিতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক,জীবাণু থাকার আশঙ্কা থাকে। এইগুলি থেকে পেটের সংক্রমণ ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট ইত্যাদি ক্রুসিফেরাস শাকসবজিও এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলি প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকলেও এগুলি বর্ষায় ক্ষতিকারক হতে পারে শরীরের জন্য। আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে জীবাণু বাড়ে। পাশাপাশি এগুলি পরিষ্কার করা সমস্যার। এগুলির কোনওটায় খোসা থাকে না। যার কারণে রোগজীবাণু ধুয়ে পরিষ্কার করা কঠিন। বেশি খেলে কৃমির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিদরা।
বর্ষাকালে মাটির তলার সবজি-যেমন গাজর, বীট, শালগম, মূলা না খাওয়াই শ্রেয়। এগুলি খুবই কম পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলিকে কাঁচা অবস্থায় না খেয়ে স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। তাহলে পেটের সমস্যা কম হতে পারে। বর্ষাকালে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই যে কোনও সবজি ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া জরুরি। না হলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তবে বর্ষাকালে সবথেকে উপকারী খাবার হল স্প্রাউট জাতীয় খাবার। ছোলা, মুগ, মুগ কড়াই জাতীয় দানা শস্য বেশি করে খেতে পারেন। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর খণিজ পদার্থ থাকে। এগুলি দীর্ঘ সময় জলে ভেজান থাকে। ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বর্ষাকালে রোগের হাত থেকে বাঁচতে কাঁচার পরিবর্তে সেদ্ধ করে খাওয়াই শ্রেয়। বর্ষাকালে মাশরুম থেকে দূরে থাকায় জরুরি। আর বর্ষাকালে বেগুন খাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বেগুন ছত্রাকজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বেগুনে অনেক সময় পোকা থাকে, যা পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে।
Leave a Reply