নিউজ ডেস্ক : ৩০ অক্টোবর। প্রায় ৫০০ মানুষসহ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে গুজরাটের মোরবি শহরের ঝুলন্ত সেতু। মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় প্রায় ১৪১ জনের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতির তুলোধোনার সম্মুখীন হয়েছে গুজরাট সরকার।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি আশুতোষ জে শাস্ত্রী এই মামলার শুনানি করেছেন।আদালতের পক্ষ থেকে মোরবি শহরের ঝুলন্ত সেতুটির মেরামতের জন্য করা চুক্তির সমালোচনা করা হয়েছে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার গুজরাটের মুখ্য সচিবকে প্রশ্ন করেন, কেন পাবলিক ব্রিজ মেরামতের কাজের জন্য কোনো টেন্ডার ডাকা হয়নি?
মোরবি পৌরসভা ঝুলন্ত সেতু মেরামতের জন্য অজন্তা ব্র্যান্ডের দেয়াল ঘড়ি প্রস্তুতকারী ওরেভা গ্রুপের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি করেছিল। এই মর্মে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই ক্ষেত্রে গুজরাট পৌরসভা আইন, ১৯৬৩ অনুসরণ করা হয়েছিল? টেন্ডার ছাড়াই অজন্তা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে? এত গুরুত্বপূর্ণ কাজের চুক্তি মাত্র দেড় পৃষ্ঠার কীভাবে সম্পন্ন হলো?
আরও পড়ুন : SSC: “কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি”, নির্দেশ হাইকোর্টের
স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলায় ছয়টি পক্ষের কাছে জবাব তলব করে আদালত। ওরেভা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির প্রথম দিন থেকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-ফাইলও মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার।
আরও পড়ুন : আগারকর রিসার্চ ইনস্টিটিউট : কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
Leave a Reply