Anubrata Mondal: “সারা জীবন কেউ জেলে থাকে না”, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে মন্তব্য কেষ্টর

নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলকোট অশান্তি মামলায় ছাড়া পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় ১২ বছরের পুরনো বাম জামানার এই মামলায় স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ (MP-MLA) আদালতে এই মামলা ওঠে। মামলার চার্জশিটে নাম থাকা অনুব্রত সহ ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেষ্ট বলেন, ‘এটা সত্যের জয়।”

শুক্রবার সকালে নিজের চেনা মেজাজেই ছিলেন অনুব্রত। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে বিধাননগরে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন,”সারা জীবন কেউ জেলে থাকে না।”

বেকসুর খালাস হয়ে অনুব্রত বলেন,’সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। মিথ্যা মামলা করেছিল। আমি ছাড়া বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরাও বেকসুর খালাস হয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে বীরের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যে সাংবাদিকদের সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘কেন?আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? শুধু দেখে যান…’

অনুব্রতের আইনজীবী শৌভিক বসু বলেন,”সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছিলাম। কোনও তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে আদালত বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে।”

আরও পড়ুন: সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে তৃণমূলের ১৯ নেতা

২০১০ সালে ৫ মার্চ বাম জামানায় মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। এই ঘটনায় কয়েকজন বাম কর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। কেবুলাল শেখ নামক এক বাম কর্মীর এই বিস্ফোরণে একটি হাত নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনায় চার্জশিটে নাম ছিল অনুব্রত মণ্ডলের।

আরও পড়ুন: ৭৩ বছরে ব্রিটেনের রাজা, কী কী সুবিধা পাচ্ছেন তিনি ? জানুন

কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ে থামে তাঁর গাড়ি। একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁর গাড়ি থামলেও তিনি ল্যাংচা খাননি। গাড়ি থেকেও নামেননি। সূত্রের খবর, প্রাতঃরাশ হিসেবে তাঁকে ছোলার ডাল এবং চারটি কচুরি গাড়ির মধ্যেই দেওয়া হয়।