ইউ এন লাইভ নিউজ: ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং-এ হিরো বলা হয় মুশির খানকে। ইরানি ট্রফির ঠিক আগেই ১৬ সপ্তাহের জন্য ক্রিকেট মাঠ থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন ক্রিকেটার। শুক্রবারে গাড়ি দুর্ঘটনার পর লখনৌয়ে আয়োজিত হতে চলা ইরানি ট্রফি তো বটেই, খেলতে পারবেন না রঞ্জির শুরুর দিকের ম্যাচ-ও। জানা গিয়েছে মুশির, আজমগড় থেকে লখনৌয়ে যাচ্ছিলেন বাবা নওশাদ খান সহ আরও দুই ব্যক্তির সঙ্গে। সেই সময়েই যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় গাড়ি। নওশাদ সহ বাকি দুই ব্যক্তি অল্পের ওপর দিয়ে ফাঁড়া কেটে গিয়েছে। তবে সমস্যা হয়েছে মুশিরের। ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করার সঙ্গে কনকাশনের শিকারও হন তিনি।
তড়িঘড়ি সকলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুশিরকে কমপক্ষে ১৬ সপ্তাহের বিশ্রামে যেতেই হবে। হাড় ভেঙেছে কিনা, তা বিশদ পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। রবিবারই উন্নত চিকিৎসার জন্য মুশিরকে মুম্বইয়ে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন মুশির। ইরানি ট্রফিতে আর খেলা হবে না ওঁর। রবিবার-ই মুম্বইয়ে উড়ে আসছেন তিনি। বিসিসিআই এবং এমসিএর (মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা) চিকিৎসক দল ওঁর পর্যালোচনা করবে। মুম্বইয়ে ফিরলেই বোর্ডের তরফে আরও একপ্রস্থ স্ক্যান সহ যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।”
শুক্রবার বিকালেই মুম্বই দল লখনৌ উড়ে যায় ইরানি ট্রফি খেলার জন্য। নিজের হোম টাউন থেকেই মুশিরের যোগ দেওয়ার কথা দলের সঙ্গে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা চেয়েছিল মুশির যেন দলের সঙ্গেই লখনৌ যান। তবে দলীপের শেষ কয়েকটা ইনিংসে রানের দেখা পাননি মুশির। তাই পুত্রের জন্য অতিরিক্ত ট্রেনিং করানোর কথা বলে সংস্থাকে পিতা নওশাদ অনুরোধ করেন যেন মুশিরকে ছাড় দেওয়া হয়। মুম্বই টিমের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্থাও নওশাদের অনুরোধ মেনে নেয়। মুম্বই টিমের পরিকল্পনা ছিল মুম্বইয়েই দুদিন নেট-অনুশীলন করার। তবে টানা বৃষ্টি প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল।