নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোতেও দুর্যোগের চোখরাঙানি। ফের কি তছনছ হবে উপকূলীয় এলাকা? ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাই আগেভাগেই শুক্রবার দুপুরে নবান্নে সব দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তৈরি করা হয় পরিস্থিতি মোকাবিলার রূপরেখা। প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় NDRF ও SDRF’কেও।
দক্ষিণের জেলাগুলির জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারসহ ২০ টি দফতরের সচিবদের সঙ্গে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, জেলাশাসকদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখতে হবে। উপকূল থেকে সরাতে হবে মানুষদের। বাতিল করা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ছুটি। ২০ টি এসডিআরএফ ও ১৫ টি এনডিআরএফ দলকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সাইক্লোনের পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে ২৩ অক্টোবর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আন্দামান সাগরে ক্রমশই ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। সোমবার তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ধীরে ধীরে এই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের কোনও উপকূলে আছড়ে পরবে কি না, গতিবেগই বা কত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : ‘ভালো সন্ত্রাসবাদ’-‘খারাপ সন্ত্রাসবাদ’ প্রকারভেদের বার্তা দিলেন অমিত শাহ
Leave a Reply