নাসার টেলিস্কোপে সৌরজগতের ‘রাজা’-র নতুন ছবি ঘিরে বিশ্বজুড়ে বিস্ময়

নিউজ ডেস্ক: সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। সারা বছর যার ছবি একই রকম থাকে। স্কুলের বইয়েও আমরা পড়ে এসেছি সৌরজগতের হলুদ-কমলা রঙের দৈত্যাকার গ্রহটি হল বৃহস্পতি।

এবার, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) তার নতুন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে বৃহস্পতির নতুন কিছু ছবি তুলেছে। যেখানে এই গ্রহকে একটু অন্যরকম দেখায়। নাসা-র (NASA) প্রকাশিত এই গ্রহের সর্বশেষ ছবিতে বৃহস্পতির রঙ দেখা গিয়েছে সবুজ-নীল। এবং এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতির গ্রেট ‘রেড স্পট’ আর লাল রঙের নেই ! সাদা হয়ে গিয়েছে।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ হল একটি ইনফ্রারেড স্পেস অবজারভেটরি। সম্প্রতি এক বছর আগেই এই স্পেস অবজারভেটরি চালু হয়। টেলিস্কোপের প্রথম রঙিন ছবি এবং স্পেকট্রোস্কোপিক ডেটা গত মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকে টেলিস্কোপের একটি ইনস্টাগ্রাম পেজে মাঝে মাঝেই বৃহস্পতি গ্রহের এই আশ্চর্যজনক ছবি শেয়ার হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইমকে ডি প্যাটার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন,”সত্যি বলতে আমরা এই ছবি এত ভালো হবে আশা করিনি।’ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ডি প্যাটার এবং বার্কলে প্যারিস অবজারভেটরির অধ্যাপক থিয়েরি ফুচেট বৃহস্পতি গ্রহের এই আশ্চর্য ছবির পর্যবেক্ষন রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটি সত্যিই অসাধারণ যে বৃহস্পতির বলয়, ক্ষুদ্র উপগ্রহ এমনকী গ্রহাণুপুঞ্জ এই ছবিতে দেখা গিয়েছে।’

নাসা (NASA) সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের করা পোস্টে উল্লেখ করেছে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে ছবিগুলি ঠিক সেই মত আসে না যেভাবে আমরা ওয়েবে ছবি দেখি। তার পরিবর্তে, বিজ্ঞানীরা যা পেয়েছেন, তা হল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে আলোর ডিটেক্টর-সহ তথ্যের একটি সংগ্রহ। স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটে, সংগৃহীত তথ্যগুলো একত্রিত করা হয় এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই ছবি তৈররা হয়।

বৃহস্পতির এই নতুন ছবিগুলো বানিয়েছেন মোডেস্টো ক্যালিফোর্নিয়ার জুডি স্মিট। তিনি নাসার দীর্ঘদিনের ইমেজ প্রসেসর। স্মিটকে সাহায্য করেছেন স্পেনের সহ-অনুসন্ধানকারী রিকার্ডো হুয়েসোর। তিনি দ্বিতীয় ছবিটির জন্য বাস্ক কান্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহের বায়ুমণ্ডল নিয়ে অধ্যয়ন করেছেন বলেই নাসা জানিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়ার পর থেকে, এই পোস্টটি এখন পর্যন্ত ৭ লক্ষেরও বেশি লাইক পেয়েছে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *