ইউ এন লাইভ নিউজ: বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিধানসভায় সোমবার এই ঘটনা ঘটে। খানিকক্ষণ কথা হয় তাঁদের দুজনের মধ্যে। কী কথা হয়েছে তাঁদের, মধ্যে সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে ডেকে নিয়ে যান নওশাদকে। এবং তারপরেই আলাদা করে হাউজের বাইরে নওশাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা ছড়ালেও নওশাদ পরে বলেন, “ফুরফুরা শরীফের একটা কাজ ছিল। উনি তা করে দিয়েছেন। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই।” উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিধানসভায় ১৮৫ রুল অনুযায়ী বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়।
আর সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে RSMP বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ”আমি প্রথমেই বলি নীতিগতভাবে কোনও ভাবেই বাংলা ভাগ মেনে নেওয়া যায় না, বাংলা ভাগ করা যায় না। তবে একটা কথা মনে করিয়ে দেব, যে অনন্ত মহারাজ গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তুলেছিলেন, সেই অনন্ত মহারাজের বাড়িতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। এটা কী ইঙ্গিত করে?” তিনি আরও বলেন, নওশাদের সংযোজন, ”দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে। কলকাতার পিজি হাসপাতালের মতো উন্নত মানের হাসপাতাল উত্তরবঙ্গে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। চিকিৎসা পরিষেবার মান কলকাতার থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। দুঃখের বিষয়, ১৭ বার চা বাগানের মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষ মিটিং করলেও এখনও চা শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঠিক করা সম্ভব হল না। পরিশেষে বলি, আমি বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে।”
Leave a Reply