যেদেশে প্রতিদিন ৩০ জন আত্মহত্যা করে

নিউজ ডেস্ক: কৃষিপ্রধান দেশে অর্থনীতির মূল কান্ডারি কৃষকরা। তাদের হাতিয়ার করেই বারবার ভারতীয়দের মন জয় করার যেমন মরিয়া চেষ্টা করছে মোদি সরকার, তেমনই এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরাও। কৃষকদের আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখিয়ে, হতাশ করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর বড় বড় ভাষণ যে সবই ‘জুমলা’, কৃষি আইনের ব্যর্থতার ১০ মাস পর তা ফের প্রমাণিত হয়েছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। মোদির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষকদের আয় দ্বিগুণ না হলেও আত্মহত্যার সংখ্যা বেশ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো’-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষি ক্ষেত্রে প্রতি দিন গড়ে ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

২০২১ সালের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

২০১৬ সালের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ২০২২-এর ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু সেই আয় তো বাড়েইনি, বেড়েছে কৃষকদের ওপর ঋণের চাপ, পেশার অনিশ্চয়তা, মানসিক অবসাদ। সম্প্রতি অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশে ১০,৮৮১ জন কৃষক ও ক্ষেতমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন।

এনসিআরবির কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান

এনসিআরবির সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে, কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বছরে মোট ৫,৩১৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও মোট ৫,৫৬৩ জন ক্ষেতমজুরও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মোদি জমানায়। গত বছর প্রতি দিন অন্তত ১৫ জন কৃষক এবং ১৫ জন ক্ষেতমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন। অর্থাৎ, ২০২১ সালে কৃষি ক্ষেত্রে প্রতি দিন গড়ে ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রায় ৭ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে মোট আত্মহত্যার পরিসংখ্যান।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির পর এবার বিরাম,বর্ষা বিদায় কি আসন্ন?