ইউ এন লাইভ নিউজ: ‘ইসবার ৪০০ পার’ কথাটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে করে দিল ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। বিজেপির ফল এবার লোকসভা ভোটে খারাপ হওয়ায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে ফের সরকার গঠন করেছে এনডিএ। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে নতুন প্রস্তাব পাশ করল নীতীশের দল। শনিবার জেডিইউ-র জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে জেইউডি-এর এক বরিষ্ঠ নেতা সাংবাদিকদের জানান, “বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবি নতুন নয়। বিহারের উন্নয়নের গতি আরও বাড়াতে এবং রাজ্যের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” এই প্রস্তাবে বিহার সংরক্ষণ কোটার উল্লেখ করা আছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিহার সংরক্ষণ কোটা বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে। চিকিৎসকের পেশায় প্রবেশের জন্য নিট প্রবেশিকা পরীক্ষার বেনিয়ম নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিহার যোগ রয়েছে। নিট ইস্যু নিয়ে জাতীয় কার্যনির্বাহীর বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জেডিইউ-র ওই নেতা জানান। এইরকম একটি পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিশ্বাস ফেরানোই এখন প্রধান কাজ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর তাদের জোটসঙ্গী জেডিইউ-ও পেয়েছে ১২টি আসন। দেশজুড়ে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি পেয়েছে ১৬টি আসন। কেন্দ্রে সরকার টিকিয়ে রাখতে এই দুই দলের সমর্থন প্রয়োজন বিজেপির। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করলেন নীতীশ। সেই চাপ কতটা কাজে দেয়, সেটাই এখন দেখার।
Leave a Reply