নিউজ ডেস্ক : টুকলি, এই শব্দটা শোনেনি এমন মানুষ মেলা ভার। চোখের পলকেই ইশারায় ইশারায় হয়ে যাচ্ছে এসব। ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় বুদ্ধি কাজে না এলেও, টুকলির ক্ষেত্রে তারা অভিনব সব পদ্ধতি খুঁজে বার করে। মজা করে বলাই যায়, টুকলি একটা পরম্পরা পড়ুয়াদের জন্য। টুকলি করতে বাচ্চারা যেমন হাঁপায় না, তেমনই এই টুকলির সমাধানের উপায়ে খুঁজতে খুঁজতে শিক্ষকরাও নাজেহাল।
এটা যতই মজার বিষয় লাগুক না কেন। এর প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ওপর। শুধু তাই নয়, এর জন্য সঠিক মান নির্নয় করতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকরা। তবে, এবার পিছিয়ে রইলেন না শিক্ষকরাও। পড়ুয়ারা যদি হয় বুনো ওল, তাহলে শিক্ষকরাও এবার বাঘা তেঁতুল। তাঁরাও নতুন পদ্ধতিতে টুকলি আটকানোর ফন্দি এঁটেছেন। এর ফলেই পরীক্ষার হলে “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” পরেই উপস্থিত হলেন পড়ুয়ারা। এরপর শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হয় পরীক্ষাও। অন্যদিকে, এই অভিনব পরীক্ষার পদ্ধতি মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়ে গেছে ভাইরাল।
আসলে ফিলিপিন্সের লেগাজপি শহরের বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ঘটনাটি ঘটেছে। টোকাটুকি এড়াতে এই কলেজের পড়ুয়ারা তৈরি করেছে “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট”। অর্থাৎ এমন কিছু ব্যবস্থা যাতে টুপি পরার ফলে তারা ঘাড় ঘোরালেও পাশের জনের খাতা দেখতে পারবে না। এতে টুকলির সম্ভাবনাও একেবারেই কমে যাচ্ছে। এবং এখানে আকর্ষণীয় বিষয় হল,এই টুপিগুলো সবই বাড়িতে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েই তৈরি।এই অত্যাধুনিক চিন্তা ভাবনা দেখে হতবাক হয়েছেন নেটপাড়ার লোকেরাও।
প্রথম এই চিন্তা ওই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাথায় আসে। তাঁরা জানান এই বুদ্ধি তাঁর পেয়েছেন থাইল্যান্ডের এক বিদ্যালয় থেকে। হাফিয়ালি পরীক্ষায় সময় যে মাত্রায় টুকলি হয় তা প্রতিরোধের জন্যই “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” পরিকল্পনা।আর এর দায়ভারও ছিল পড়ুয়াদের ওপরেই। তারাই নিজেদের পছন্দ মত টুপি বানিয়ে এনেছিল। ক্ষুদেদের বুদ্ধি ও কারুকার্যের বাহার নিচের ছবি দেখলেই বুঝবেন আপনারা।
আরও পড়ুন : চিত্রনাট্য লিখেছেন স্ত্রী সাক্ষী, এবার বড় পর্দায় মাহি ম্যাজিক
এখানে ব্যবহার করা হয়েছে হেলমেট,কার্ডবোর্ড, হ্যাঙ্গার এর মত জিনিস। পড়ুয়াদের এই চেষ্টা কে নেটিজেনরা ছাড়াও প্রশংসা করেছেন তাদের শিক্ষকরাও। এই বিষয় তাঁরা লেখেন, “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট সকলকে মনে করাতে চায় যে আর টোকাটুকি নয়। বরং মন দিয়ে লেখাপড়া করা উচিত। সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার মতো বিষয়গুলিকে আমরা যেন সবসময় গুরুত্ব দিতে পারি।” আবার কেউ বলেন, “আমি সত্যিই আমার ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসি এবং আমি তাদের জন্য গর্বিত। কারণ তারা তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং মিডটার্ম পরীক্ষার চাপ সামলেও এই মজাদার জিনিস উপস্থাপিত করেছে। তোমাদের অনেক ধন্যবাদ।” তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, ছোটদের জন্য যেটা প্রযোজ্য, বড়দের ক্ষেত্রেও কী তা প্রযোজ্য?
আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া স্বামীকে ‘চরিত্রহীন’ বা ‘মদ্যপ’ বলা যাবেনা, জানালো হাইকোর্ট
Leave a Reply