ইউ এন লাইভ নিউজ: সারা বছর পুরীর সমুদ্রে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে। এমনকি শুধু পুরীর সমুদ্রসৈকত নয় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আসার আগেই ওড়িশার, গোপালপুর, পারাদ্বীপ, চাঁদিপুরের মতো জনপ্রিয় সৈকতগুলির চেহারা অচেনা হয়ে উঠেছে। বুধবারের পর সেই দৃশ্য আরও বদলেছে। একেবারে খাঁখাঁ করছে সৈকতগুলি। শুধু সমুদ্রের ঢেউ গর্জন করে আছড়ে পড়ছে সৈকতে। নেই কোনও পর্যটক, নেই কোনও শোরগোল।
এখন এই সৈকতগুলিতে শুধু দেখা মিলছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যদের। ‘দানা’ মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত তাঁরা। বর্তমানে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘দানা’। ধামারা থেকে ৩১০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার পর্যটনস্থলগুলি ছেড়ে চলে এসেছেন পর্যটকেরা। সোমবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবারের মধ্যেই সমস্ত পর্যটককে ওড়িশা ছাড়তে হবে। তার পর থেকেই এই রাজ্য ছাড়তে শুরু করেছিল পর্যটকেরা।
‘দানা’র জেরে সমুদ্রের ঢেউ ৭-৮ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে। ফলে ওই সময়ে সৈকতের ধারেকাছে কোনও পর্যটক যাতে যেতে না পারে, তার জন্য চালানো হচ্ছে নজরদারি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
Leave a Reply