স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আঁধারেই থাকবে তাজমহল

নিউজ ডেস্কঃ অন্ধকারেই তাজ। দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে অন্য সমস্ত স্মৃতিসৌধ আলোক মালায় সজ্জিত হলেও আলো জ্বলবে না এই সমাধি স্তম্ভে। মোগল সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয় পত্নী মমতাজের  স্মরণে তাজমহল নির্মাণ করেন। ১৬৩২ থেকে ১৬৪৮ সালের মধ্যে আগ্রায় নির্মিত হয় এই আশ্চর্য স্থাপত্যটি। যা সারা বিশ্বে এক অন্যতম কীর্তি। ১৫ আগস্ট সেই সৌধই থাকবে অন্ধকারে।  কিন্তু কেন ?

১৯৯৭ সালের ২০ মার্চ পিয়ানো বাদক ইয়ানির শোয়ের জন্য তাজমহলকে শেষবারের আলো দিয়ে  সাজানো হয়েছিল। কিন্তু পরদিন সকালে তাজমহলের গায়ে বহু ছোট ছোট পতঙ্গের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।শুধু তাই নয়, বিশেষ্ণজ্ঞ্ররা দেখেন ওই পতঙ্গের কারণে তাজের স্থাপত্যেরও ক্ষতি হয়েছে। এরপরেই তাজমহলকে রাতে আলোকিত না করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কারণ কীটপতঙ্গগুলি স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে প্রচুর দাগ ফেলে মার্বেলের ক্ষয় করে। আর এতে তাজমহলের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছিল প্রত্নতাত্বিক বিভাগ।

 ১৯৯৭ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাজমহলে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা হয়। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ আজও প্রত্যাহার করা হয়নি।

জানা যায় মিত্রবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করার পর তাজমহলের বিভিন্ন অংশ আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে আয়োজন করা হয়েছিল একটি জমকালো অনুষ্ঠানও। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সৌধগুলিকে তেরঙ্গা আলো দিয়ে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।  তা সত্বেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অন্ধকারেই থাকবে দেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ অন্যতম স্থাপত্যটি।