ইউ এন লাইভ নিউজ: মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে ক্রমশ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। সোমবারই নবান্ন অভিযান ঘিরে বিরাট ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করেছিল রাজ্যের পুলিশ। শীর্ষ পুলিশকর্তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, কীভাবে নাশকতার ছক কষা হয়েছে নবান্ন অভিযানের আড়ালে। একইসঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের তরফেও ভিডিও-অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে নাশকতার ছকের দাবি করা হয়। এবার অভিযানের আগেই বিরাট পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। যার জেরে ধাক্কা খেতে পারে নবান্ন অভিযান।
নবান্ন অভিযানে লাশ ফেলে দেওয়ার ছকের অভিযোগে ছাত্রসমাজের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট সকাল থেকেই অভিযোগ ওঠে, অভিযানের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৪ প্রতিনিধি নিখোঁজ। বিরোধী দলনেতা টুইট করে দাবি করেন, প্রশাসনের মদতে ওই চারজন নিখোঁজ। তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার অভিযান বানচাল করার জন্য পুলিশ ওই চারজনকে অপহরণ করেছে। কিন্তু বেলা বাড়তেই অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করল পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ‘সোমবার রাত থেকে চারজন পড়ুয়া নিখোঁজ, এই মর্মে এক রাজনৈতিক নেতা টুইট করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সত্যিটা হল, কেউ নিখোঁজ নন। ওই চারজন পড়ুয়াকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন বলে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট এবং অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন এবং খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। শান্তিরক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ওঁদের পরিবারের সদস্যদের সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’
শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, ‘চার জন ছাত্রনেতা ‘নিখোঁজ’। তাঁদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনেও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সন্দেহ করছি, পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার বা আটক করে থাকতে পারে।’ এর পরই বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘যদি তাঁদের কিছু হয়ে যায়, তার জন্য দায়ী থাকবে মমতার পুলিশ।’ শুভেন্দুর দাবির পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এঁরা আদৌ নিখোঁজ কি না, কেউ করালেন কি না কেউ জানেন না। সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াতে এই সব পোস্ট করা হচ্ছে। যাঁরা অনুমতিহীন আন্দোলন এবং আন্দোলনের নামে অশান্তি তৈরির চেষ্টাকে উৎসাহ দিতে চাইছেন, এর সব দায়িত্ব তাঁদের।’
Leave a Reply