ইউ এন লাইভ নিউজ: বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে কেরলের ওয়ানড়। ভূমিধসে সেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ এখনও প্রায় ২০০। প্রসঙ্গত, এই ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করতে বাকি নেই। শুধু দেহ উদ্ধারের কাজই বাকি আছে।শুক্রবার এমন কথা বললেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তবে কী সত্যিই নেই কোনো প্রাণের স্পন্দন নাকি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পরে যাচ্ছে কারুর আর্তনাদ? এবার সেটাই খতিয়ে দেখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিপ সার্চ রাডার। দেখা হচ্ছে ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে কোথায় কোনও প্রাণ এখনও আটকে রয়েছেন কিনা। সেইজন্য কেরল সরকার কেন্দ্রের কাছে রাডার পাঠানোর আর্জিও জানিয়েছিল।
এর পরই নর্দার্ন কমান্ডের তরফে একটি জেভিয়ার রাডার ও দিল্লির তিরঙ্গা মাউন্টেন রেসকিউ অর্গানাইজেশনের তরফে চারটি রিকো রাডার পাঠানো হয়। এছাড়া শনিবার দিল্লি থেকে একটি বায়ুসেনার বিমানও পাঠানো হয়েছে ওয়ানড়ে। চালিয়ার নদী থেকে এখনও পর্যন্ত ৯২টি দেহাংশ উদ্ধারের খবর মিলেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলার ফলে ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এদিকে শুক্রবারই পিনারাই বিজয়নকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”মনে করা হচ্ছে, মুন্ডাক্কাই, চুরালমালা ও আট্টামালা গ্রাম থেকে আর কাউকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা বাকি নেই। যা বাকি আছে তা হল ওখানে থাকা মৃতদেহগুলি বের করে আনা।” কিন্তু তবুও উদ্ধারকারী দোল আরও খতিয়ে দেখতে চাইছে যদি ওই ভয়ঙ্কর ধ্বংস স্তুপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে কোনো প্রাণ।
Leave a Reply