নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় বেড়ে চলেছে প্রসূতি-মৃত্যু। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে প্রসবকালে মায়েদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে সিজার করে সন্তানপ্রসবের হার। এই বিপুল হারে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অত্যাধিক মাত্রায় নাবালিকাদের বিয়ে এবং ১৮ বছরের আগেই গর্ভবতী হওয়া,এমনটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতাল-মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রচুর টাকা খরচ করে সুপার স্পেশ্যালিটি এবং মাল্টি-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, প্রসূতিদের চিকিৎসার আলাদা কেন্দ্র, রেফারাল অ্যাম্বুল্যান্স চালু করার পরেও প্রসূতিদের মৃত্যুর এই চিত্র স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
২০২১-’২২ সালেও পশ্চিমবঙ্গে ১২৩৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য জেলার নিরিখে এঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রসূতি মারা গিয়েছেন কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে, ১৭২ জন। ২০২২ সালে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এ বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছ’মাসে রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৮০ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের মতোই এ বারও সব চেয়ে বেশি মৃত্যু কলকাতায়। প্রসূতি-মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, তৃতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। গত বছরও মুর্শিদাবাদ দ্বিতীয় স্থানে ছিল, তবে তৃতীয় স্থানে ছিল পূর্ব বর্ধমান।
২০২২ সালের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আর.জি.কর হাসপাতালে ২৭ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২১ জন, এসএসকেএমে ১৭ জন এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ১২ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ইস্যুতে উত্তাল কলকাতা পুরসভা, মেয়রের দফতরের সামনে বিক্ষোভ
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের হার এখন প্রায় ৪৬ শতাংশ। মৃত প্রসূতিদের মধ্যে ২৫-৩০ শতাংশেরই বয়স ১৯ বছরের নীচে। তাঁদের মৃত্যুর কারণ হল রক্তাল্পতা, সেপসিস, হাইপারটেনশন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৩০০০ ক্ষেত্রে জব ভিসার অনুমোদন আমেরিকার
Leave a Reply